বিসিএস ক্যাডার হতে চান? তাহলে আজই জেনে নিন বিসিএস সম্পর্কে সকল তথ্য....!!!


বিসিএস এ অ্যাপ্লাই করার যোগ্যতা

প্রিলি+রিটেন+মৌখিক সিলেবাস, বইয়ের লিস্ট, ক্যাডারসমূহ সহ সব কিছু নিয়ে আজ বিস্তারিত পোস্ট লিখলাম। আশা করি বিসিএস নিয়ে আপনার মনের সকল প্রশ্নের অবসান হবে।

 বিসিএস এ অ্যাপ্লাই করার শিক্ষাগত যোগত্যাঃ

এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত সবগুলো পরীক্ষায় যেকোন দুটিতে দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমান এবং ১ টি তৃতীয় শ্রেণী বা সমমান। এর নিচে হবে না।
তবে পাসকোর্স ধারীদের স্নাতকোত্তর লাগবে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন জিপিএ বা সিজিপিএ দের পয়েন্ট কিভাবে হিসেব করা হবে?

 SSC এবং HSC এর ক্ষেত্রেঃ

৩ বা তদুর্ধ্ব =প্রথম শ্রেণী
২ থেকে ৩ এর কম=দ্বিতীয় শ্রেণী
১ থেকে ২ এর কম=তৃতীয় শ্রেণী

অনার্সের ক্ষেত্রেঃ

৩ বা তদুর্ধ্ব =প্রথম শ্রেণী
২.২৫ থেকে ৩ এর কম=দ্বিতীয় শ্রেণী
১.৬৫ থেকে ৩ এর কম=তৃতীয় শেণী
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক

বিসিএসের জন্য যে বইগুলো কিনবেনঃ

আমার দৃষ্টিতে সেরা বইগুলোর নাম দিলাম। আপনারা অন্যগুলো ও কিনতে পারেন।

১. ১০ম থেকে ৩৮তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সংকলন বইটি দেখা (সল্যুউশন ব্যাখ্যা সহ)
২. বাংলা ও বাংলা ২য়ঃ জর্জ এর mp3
৩. ইংরেজীঃ # Emglish for compitative exam ও সাহিত্যের জন্য মিরাকল
# অক্সফোর্ড এডভান্সড লার্নার ইংলিশ গ্রামার বই
# যেকোনও ভালো মানের ইংরেজী ব্যকরণ বই( জাকির হোসেনের বইটা ভালো , পিসি দাশ এর টাও ভালো)
# প্রফেসরস / ওরাকল ইংরেজী বিসিএস প্রিলিমিনারীর বই
# COMMON MISTAKE >> FITICATES
# SAIFUR’S VOCABULARY/ WORD TREASURE
# SAIFUR’S ANALOGY
# SYNONYM ANTONYM বিষয়ক যে কোন বই
৪. গণিতঃ # যদি কম বোঝেন তো ওরাকল আর ভাল বুঝলে প্রফেসরস বিসিএস
# মানসিক দক্ষতা ও গানিতিক যুক্তি বিষয়ক বই
# মাধ্যমিক বীজগণিত
# মাধ্যমিক জ্যামিতি [পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি ১২.৩] # নিম্ন মাধ্যমিক গণিত [৮ম শ্রেণী পাটিগণিত]
৫. বিজ্ঞানঃ ১) MP3 সিরিজের বিসিএস বিজ্ঞান সমগ্র [খুব ভালো একটা বই] ২) নিম্ন মাধ্যমিক বিজ্ঞান [৮ম শ্রেণী] ৩) মাধ্যমিক সাধারণ বিজ্ঞান [ ৯ম শ্রেণীর] ৪) পদার্থ বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী] ৫) রসায়ন বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী] ৬) জীব বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী]
৬. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ easy computer
৭. বাকি বিষয়গুলোর জন্য যেকোন প্রকাশনীরটা
৮. বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ
১) মাধ্যমিক ইতিহাস [৯ম শ্রেণী] ২) মাধ্যমিক ভূগোল [৯ম শ্রেণী] ৩) মাধ্যমিক সামাজিক বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী] ৪) আব্দুল হাই এর বাংলাদেশ বিষয়াবলী
৫) সাধারণ জ্ঞানের যেকোনো ভাল বই( যেমন>প্রফেসর’স/ ওরাকল/ MP3 সিরিজের সাধারণ জ্ঞানের বই)
৬) বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর মানচিত্র ও মানচিত্র বিশিষ্ট বই পড়ার কোনও শেষ নাই … জানার কোনও শেষ নাই। উপরের বইগুলো বিসিএস প্রিলিতে ভালোভাবে চান্স পাবার জন্য যথেষ্ট সাহায্য করবে
এর সাথে কিনতে পারেনঃ
১. লাল নীল দীপাবলি
২. ক্যারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও সালতামামি
৩. সংখ্যাতত্ত্ব
৪. ছোটদের সংবিধান
৫. সৌমিত্ব শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা
৬. পিসিদাস বা জাকির হোসেনের গ্রামার
৭. নবম দশম শ্রেণীর বোর্ডের বাংলা ২য়
৮. প্রফেসরস জব সল্যুশনস
৯. প্রফেসরস মডেল কোয়েশ্চিন্স
১০. অ্যাসুরেন্স ডাইজেস্ট

পুনশ্চ:

বিসিএস ক্যাডার হতে গেলে আপনাকে অনেক বেশী জানতে হবে! এজন্য অনেক বেশি তথ্য মাথায় রাখতে হবে যা অসম্ভব !!
১.কি কি বাদ দিতে হবে তা খুঁজে বের করা(বিগত সালের প্রশ্ন পড়লেই বুঝতে পারবেন)
২.সব কিছু জিনিসের কিছু কিছু আর কিছু কিছু বিষয়ের সব কিছু জানতে হবে।অর্থা্ৎ গুরুত্তপূর্ণ বিষয় গুলোর গভীরে যেতে হবে।এটাও বুঝতে পারবেন লিখিত ও প্রিলির বিগত প্রশ্ন থেকেই।
৩. যা শিখবেন স্পষ্ট করে শিখবেন কোন কনফিউসন রাখবেন না, কনফিসন হলেই নেটে বেশি বেশি সার্চ দিন।
৪.গ্রুপ স্টাডি করবেন আর বেশি বেশি এক্সাম দিন/ প্রশ্ন সলভ করুন।
৫.যে কোন বিষয় বিশ্লেষন করার ক্ষমতা বাড়ান
৬.ইংরেজীতে ও গণিতে দক্ষতা বাড়ান
৭.প্রতিদিন কিছু শব্দভান্ডার বাড়ান ও ইংরেজীতে কিছু না কিছু লিখুন,আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো ভাবে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করুন এতে মুখের জড়তা কেটে যাবে।
৮. প্রতিদিনের নতুন নতুন জানা জ্ঞানকে নোট করুন( প্রত্যেক বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা)
৯.অযথা কোন কিছুর ছন্দ মুখস্ত করতে যাবেন না, তবে খুব ছোট হলে ভিন্ন কথা। কঠিন বিষয় গুলোকে নিজের পরিচিত কোন কিছু/ কারো সাথে মিল রাখার চেষ্টা করুন।
সবার সফলতা ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

কোচিং করবেন নাকি করবেন না?

যদি নিজ দায়িত্ব নিয়ে সিলেবাস ভাগ করে রুটিন করে পড়তে পারেন তবে কোচিং করার প্রয়োজন নেই। তবে সেটা না পারলে করতে পারেন। কনফিডেন্স বা ওরাকল অথবা যেকোন কোচিং যেটা আপনার ভাল মনে হয়।

রিটেন

আপনি নিজেই নিজের সবচেয়ে ভালো মেন্টর। ক্যাডার হোন আর যাই হোন না কেন, নিজের যোগ্যতাই হবেন।কারো উপর নির্ভর করার দরকার নেই।
*এই কয়েক মাস বদলে দিতে আপনার ভবিষৎ। তাই, এ সময়ের সবোর্চ্চ সঠিক ব্যবহার করুন।
*আড্ডা,অলসতা এবং অপ্রয়োজনীয় কাজ দূরে সরিয়ে রাখুন।
*নিয়মিত পড়াশোনা আর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন। অসুস্থ শরীর আপনাকে পেছনে টানবে।
*এবারই আপনার শেষ সুযোগ, মন ও মস্তিষ্কে এটা দৃঢ় ভাবে গেঁথে নিন।
*যতটুকু সম্ভব, নিজেকে পড়াশোনায় ব্যস্ত রাখুন।
তাই আপনি নিজে একটা পড়ার নিয়ম, রুটিন ঠিক করে নেন। প্রথমেই গত তিন বছরের লিখিত প্রশ্ন গুলো আর সিলেবাস টা মন দিয়ে পড়ুন। বেশ কয়েকবার পড়ুন।
দৈনিক একটি বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয়, মতামত এবং বিদেশ/
আন্তর্জাতিক পাতাগুলো মনোযোগ দিয়ে বুঝে বুঝে পড়া এবং প্রয়োজনীয় নোট তোলার সময় এখন আর নেই। খুব প্রয়োজনীয় টপিকস ছাড়া, পত্রিকা এখন পড়ার দরকার নাই।
আগের নোটগুলোই বার বার পড়ুন। যাতে অন্তত যা পড়েছেন, তা লিখতে পারেন।
Silence & Smile are two powerful words.Silence avoids problem & smile solves problem. এ দুটোর সাথে patience যোগ করে, তিনটি জিনিস নিজের সাথেই রাখুন।

বিষয়ভিত্তিক আলোচনা :

English : 200

* প্রথমে প্যাসেজ থেকে ৩০ নম্বরের প্রশ্নোত্তর দিতে হবে। যার Purpose হচ্ছে Understanding ability দেখা এবং প্রশ্নে উল্লেখ আছে Write the answers in your own wordings and phrasings.
* এ অংশের জন্য S@ifur's Reading বইটা থেকে কিংবা যে কোন একটা রিটেন ইংলিশ গাইড নিয়ে প্রতিদিন একটা করে ১০ দিনে ১০ টা অনুশীলন করুন। সময় নিয়ে করুন। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর৫/১০ মিনিট বিরতি নিন।এরপর আবার শুরু করুন।
*Grammar এর ৩০ নম্বরের জন্য নিয়মিত ২/১ টা করে রুলস শিখুন এবং ঐ রুলসের প্রয়োগ করুন।
*প্যাসেজ, Editorial letter/Feature,Translation, Essay, Summary সব কিছুর জন্য গুরুত্ব দিতে হবে
Vocabulary (যত পারুন নতুন শব্দ ও ব্যবহার শিখুন।
**Join sets of sentence /Using Appropriate subordinates প্র্যাকটিস করুন।
** Use appropriate Punctuation, Capitalization & Quotation marks etc.শিখতে হবে। এগুলো যত পারুন, বার বার পড়ুন।
**Essay এর জন্য সমসাময়িক তথ্য আর সহজ ভাষায় লেখার এবিলিটই যথেষ্ট।যেকোন একটা টপিকস আপনি সিলেক্ট করুন। যেমন, The Rise of Religious Extremism as a Global Threat.
এ বিষয়ে বাংলায় পড়ুন আগে। এরপর ইন্টারনেট থেকে ২/১ টা ইংরেজি আর্টিকেল পড়ুন, এ বিষয়ে । দু'দিন পরে, এ বিষয়টা নিয়ে পূর্ণ ১ ঘণ্টা ইংরেজিতে সহজ ভাষায় লিখুন। তারপর, আপনার চেয়ে ইংরেজিতে এগিয়ে আছে এমন কাউকে দেখান। আর না পারলে, নিজেই চেক করুন।
*এভাবে, সপ্তাহে ৪/৫ টা টপিকস অনুশীলন করে ধারনা নিয়ে রাখুন।
*এ ক্ষেত্রে আরো একটা কাজ করতে পারেন, রিডিং প্যাসেজের উপরও নিজে রচনা লেখা ট্রাই করতে পারেন। অর্থাৎ রিডিং প্যাসেজ যেগুলো প্র্যাকটিস করবেন, সেগুলোর উপরই নিজের ভাষায় রচনা লিখবেন।
**ভুল হওয়ার ভয়কে জয় করে, অনুশীলন শুরু করুন।
ফরেন ল্যাংগুয়েজে কম বেশি সবারই ভুল হবে।
বাংলা : ২০০
★ব্যাকরনের জন্য সিলেবাস ধরে ধরে প্রতিটি টার্ম ভালো করে পড়ুন।
★বাংলা একাডেমির বানান রীতি গুলো ভালো করে শিখুন।
★ভাব সম্প্রসারণেরর জন্য সহজ সরল আর প্রাঞ্জল ভাষায় মূল কথা গুছিয়ে লিখুন। হায়াৎ মামুদের বই থেকে কমপক্ষে ২০/৩০ টা ভাব সম্প্রসারণ কেবল একবার করে রিডিং পড়ুন। আর লেখার মূল ধারাটা বুঝুন। মুখস্থ করতে হবে না। আর অনুশীলনের ও প্রয়োজন নেই। যদি কিভাবে সাজাবেন তা বুঝতে পারেন।
★একটা বইয়ের কমপক্ষে ৫০ -১০০ টা সারাংশ /সারমর্ম শুধু পড়ে যান। বুঝার ক্ষমতা বাড়বে। সারাংশ আর ভাবসম্প্রসারণ মূলত বিপরীত প্রক্রিয়া। তাই একটা বুঝলে, আরেকটাও পারবেন।
★বিভিন্ন বিখ্যাত ঔপন্যাসিকের বেশ কয়েকটা বিখ্যাত উপন্যাস পড়তে পারলে, লেখার ভাষা মানসম্মত হবে।
★রচনা, ভাবসম্প্রসারন এবং গ্রন্থ সমালোচনায় কাজে আসবে।
★পত্রিকার পাতার বিভিন্ন কলামিস্ট, বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞের লেখা নিয়মিত পড়লে আপনার লেখায় আলাদা একটা মাধুর্য আসবে।
★পেপার থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য,কোটেশন এবং কিছু সাম্প্রতিক রিপোর্টের তথ্য মনে রাখুন। এবং সুযোগমত কাজে লাগান।
★লেখকদের কথা সম্পূর্ণ রূপে মনে না থাকলেও নিয়মিত নোট তোলা, আপনার লেখাকেই অনন্য করে তুলবে।
★সাহিত্যর ক্ষেত্রে প্রিলির প্রিপারেশনটা আরেকটু গভীরভাবে জানুন। এক্ষেত্রে একটা গাইড কিনে সব প্রশ্নের উত্তর একবার দেখে নিন। জরুরী তথ্যগুলো নোট নিন। আর লেখার সময় একটু সাজিয়ে গুছিয়ে, উপমা, উপাধি ইত্যাদি দিয়ে সাহিত্যের রস ফুটিয়ে তুলুন।
★ বিখ্যাত লেখকদের ক্ষেত্রে কিছুটা সাহিত্যিক ভাষায় লিখুন।
যেমন : রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের তিনটি নারী চরিত্র বর্ণনা করুন /নজরুলের ঔপন্যাসিক সত্তার পরিচয় দিন।
এ প্রশ্নের উত্তরের প্রথম লাইন, এভাবে দিতে পারেন :
সূর্য যেমন অফুরন্ত আলোকরশ্মি দিয়ে পৃথিবীকে, আলোকে উদ্ভাসিত করে, ঠিক তেমনি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)/ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম(১৮৯৯-১৯৭৬) ও তাঁর অফুরন্ত মেধা রশ্মি দিয়ে বাংলার সাহিত্যাকাশকে আলোকে উদ্ভাসিত করেছেন। তাঁর সুনিপুণ লেখনীর অসামান্য ছোঁয়া লেগেছিল ছোটগল্পেও /উপন্যাসেও।
এরপর, অল্প কথায় মূল উত্তরটা দিতে পারেন।
★ গ্রন্থ সমালোচনার ক্ষেত্রে ও এভাবে উপমা দিয়ে সাজান। যাতে লেখায় মাধুর্য আসে।
★★বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বানানের পাশাপাশি বর্ণের মাত্রার ব্যবহারে সচেতন হোন।
★★লেখা সুন্দর না হলেও স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।
★গ্রন্থ সমালোচনার জন্য কিছু ঐতিহাসিক,
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বইয়ের তালিকা করে গাইড বই থেকে একবার পড়ুন। উইকিপিডিয়া বা ইন্টারনেট থেকে একবার পড়ুন।
★কিন্তু লিখবেন একদম নিজের ভাষায়।

সহায়ক গ্রন্থ :

*বাংলা সাহিত্যর ইতিহাস --মাহাবুবুল হক
*ভাষা শিক্ষা------হায়াৎ মামুদ
*গাইড একটা
*লাল নীল দীপাবলি --হুমায়ূন আজাদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলী : ২০০
*এ বিষয়ে নম্বর তোলার দারুণ সুযোগ রয়েছে। যেহেতু ৪০ *৫ করে, তাই অল্প কথায় মূল উত্তর দিতে পারলেই, অনেক নম্বর পাবেন।
*সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করুন।
*সিলেবাসের ১,৩,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১৪ এবং ১৬ টপিক্স গুলোর সংক্ষিপ্ত কিন্তু তথ্যবহুল, সঠিক টীকা করে করে দ্রুত পড়ুন।
*সংবিধানে যথেষ্ট গুরুত্ব দিন। অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে, মূল কথা লিখতে পারলেই যথেষ্ট মার্কস পাবেন।
*গতানুগতিক না লিখে প্রশ্নের মূল বিষয়টা বুঝুন।
# যেমন :বাংলাদেশের সংবিধানের ৫ টি বৈশিষ্ট লিখুন।
এই প্রশ্নের উত্তরে লিখিত,দুষ্পরিবর্তনীয়, প্রস্তাবনা সম্বলিত,মৌলিক অধিকার সম্বলিত এবং প্রজাতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য, এ ৫ টি লেখা যায়। এভাবে অনেকেই লিখবেন।

কিন্তু যদি এভাবে লিখি :

বাংলাদেশের সংবিধান নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যতম সংবিধান। অার এ সংবিধানের বেশ কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ৫ টি হলো :
১.পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর (অনুচ্ছেদ ১৮-ক)
২.উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ (অনুচ্ছেদ ২৩-ক)
৩.ধর্মীয় নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা (অনুচ্ছেদ ১২,৪১)
৪.মৌলিক অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা (অনুচ্ছেদ ২৬)
৫.ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরন রক্ষা (অনুচ্ছেদ ২২)
তাহলে কিন্তু নম্বর প্রাপ্তিতে অবশ্যই শেষের উত্তরদাতা এগিয়ে থাকবেন।
অর্থাৎ গতানুগতিক না লিখে, নিজের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে মেইন পয়েন্ট ফুটিয়ে তুলুন।
*মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুলো রেফারেন্স সহ দেখে নিন।
*সবগুলো প্রশ্ন টাচ করুন। দ্রুত লিখুন। প্রথম প্রশ্নো গুলো বড় না করে, শেষ পর্যন্ত একই ধারাবাহিকতায় লিখুন।

♥আআ আন্তর্জাতিক :১০০

*একটু সচেতন হলেই এ বিষয়ে ও অনেক মাকর্স ওঠে।
*সেকশন A তে বেশি টপিকস নেই। সবগুলো টপিকস কেবল টীকা আকারে মেইন ধারনা নিয়ে নিন।
*মূল জানা থাকলে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারবেন। এবং এ অংশে কমন ও পাবেন।
*লেখা তত্ত্ব ও তথ্যবহুল হওয়া চাই
*সেকসন বির জন্য সমস্যা, বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংস্কার /সমাধান দেখে নিন।
*গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মতামত রেফারেন্স সহ লিখে, নিজের মতামত অল্প কথায় লিখুন।
*পত্রিকার কলাম অনেক কাজে অাসে।
*সেকসন সিতে সাম্প্রতিক বিষয়ে সমাধান আসে। তাইই, এখনি মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
*বিভিন্ন গবেষক ও বিশ্লেষকরা কি মতামত দেন, জেনে রাখুন।
*যেমন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ কী বলছে জেনে রাখুন।
*আমেরিকা ইস্যুতে বিশ্লেকরা কী বলছেন, প্রভাবশালী অান্তর্জাতিক পত্রিকা কী লিখছেন সেই সব মাথায় রাখুন।।
বাংলাদেশ ও অান্তর্জাতিক বিষয়ের জন্য কিছু

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :

জাতিসংঘের বর্তমান পরিস্থিতি, ভূমিকা ও সংস্কার
রোহিঙ্গা ইস্যু
জলবায়ু ইস্যু
এসডিজি
ব্রিকস /এনডিবি
সাইবার ক্রাইম ;গ্লোবাল থ্রেট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্ব ও বিশ্ব
নতুন বিশ্বব্যবস্থা
জাতিসংঘ নিয়ে স্যার জ্যাফরি ডি স্যাকস, বাংলাদেশ নিয়ে বিয়ার্ন লোমবোর্গ এবং প্রতীক বর্ধন অনুদিত প্রজেক্ট সিন্ডিকেটের সমসাময়িক ইস্যু সংক্রান্ত লেখাগুলো অনেক কাজে অাসবে।

গাণিতিকযুক্তি ও মানসিকদক্ষতা : (৫০+৫০)

৩৫ তম বি সি এসের গণিতের লিখিত পরীক্ষার পর গণিতে ভয় বেড়ে গেছে অনেকের। যারা গনিত নিয়ে খুব টেনশনে আছেন, তাদের বলছি....এতটা টেনশনের দরকার নেই। সত্যিই নেই।
যেহেতু সময় বেশি নেই এবংগণিতে ৫০ নম্বর সেটা মনে রাখুন। আর সেই ৫০ নম্বরের মধ্যে যদি আপনি ২০/২৫ ও পান এবং মানসিক দক্ষতায় ৩৫/৪০/৪৫ পান তাহলে আপনার নম্বর কিন্তু ৫৫,৬০ বা ৬৫ পর্যন্ত আসবে। যা নিঃসন্দেহে একটা ভালো স্কোর।
তাই যারা গণিতে ভালো, তাদের অভিনন্দন। এবং যারা কিছুটা দুর্বল, তাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে ৫০ মার্কসের এক্সামের জন্য চেষ্টাও ৫০ মার্কস অনুপাতে করুন। এমন যাতে না হয় এ বিষয়ে ২০ মার্কস বাড়াতে গিয়ে ২০০ মার্কসের কষ্ট আর অন্য বিষয়ের ২০/৫০ নম্বরে বাড়তি পাওয়ার সুযোগ হারিয়ে দিলেন।
তাই যেসব পারেন ওগুলোই বারবার করুন। যা একদমই বোঝেন না, তার পেছনে সময় নষ্ট করার মানে হয়না। ঐ টা নাও আসতে পারে কিংবা আসলেও খুব কম নম্বরের হতে পারে। যা আপনি অন্য বিষয় দিয়ে সহজেই কাভার দিতে পারবেন।
যারা পারবেন তারা উচ্চতর গনিত বই থেকে সিলেবাসের অধ্যায় গুলো করুন।
যারা আরেকটু কম পারেন, তারা নবম দশম শ্রেণির নতুন পুরাতন দু'টো বই ই উদাহারনসহ ভালো করে করুন। জ্যামিতি অংশ সহ। আশা করছি উতরে যাবেন।
সম্ভব হলে ৮ম শ্রেণিরটাও করুন।
আর কয়েকদিন পরপর একটা একটা মডেল টেস্ট দিয়ে দেখুন, কতটা এগুলেন।
মানসিক দক্ষতা:
★মানসিক দক্ষতার জন্য আলাদাভাবে প্রিপারেশন নিতে হয় না। আমি নেই নি।
★তবে আপনারা এক্ষেত্রে বুঝে বুঝে গত কয়েক বছরের প্রশ্নের সমাধান করুন। এরপর, কয়েকটা মডেল টেস্ট দিন। অনেক কাজে অাসে।
★এ অংশের বেশির ভাগ প্রশ্নই বাংলা ও ইংরেজি বানান,শুদ্ধিকরন, সা:জ্ঞান, গণিত এবং কমন সেন্সের ভিত্তিতে আসে। তাই ওসব বিষয়ের সাথেই প্রস্তুতি হয়ে যায়।
★তবে প্রশ্নসমূহের সমাধান করতে পারলে, একটা ভালো ধারণা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
বিজ্ঞান :
Part -A(General Science)
★ এ অংশে দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিষয় থেকে সৃজনশীল টাইপের প্রশ্ন আসছে। তাই ওভাবেই প্রিপারেশন নিন।
★এ অংশের জন্য নবম দশম শ্রেণির নতুন সাধারণ বিজ্ঞান বইটা ভালো করে পড়লে ৮০-৯০% উত্তর করা সম্ভব, (আমার মতামত)।
★আগের ৩০-৩৬ প্রশ্ন সমূহ দ্রুত শিখে নিন।।
★নবম দশম শ্রেনির বিজ্ঞান গাইডটাও দেখতে পারেন।

সহায়ক গ্রন্থ :

সাধারণ বিজ্ঞান (৯ম-১০ম)
একটি লিখিত গাইড
Part-B : Computer & Information Technology
★প্রথমেই সিলেবাস ধরে ধরে ইজি টপিকস অর্থাৎ যে সব আপনার কাছে সহজ মনে হয়, সেসব টপিকস পড়ে নিন।
★এরপর বাকি গুলো অর্থাৎ কঠিন টপিকস গুলো ধরুন। যা একদমই পারেনা বা বুঝেন না, তা বুজতে চেষ্টা করুন। এরপরও না পারলে জাস্ট বাদ দিন। সবকিছুই জানতে হয়না ।
★ এ পার্টে ভালো করতে সাম্প্রতিক তথ্যপ্রযুক্তির নতুন তথ্য এবং ICT এর ব্যাবহারেও দক্ষতা দরকার।
★পি এস সি এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা ICT প্রশ্নগুলো শিখে নিন।
সহায়ক গ্রন্থ :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (১১শ-১২শ)
ইজি কম্পিউটার
রিটেন গাইড
Part-C. Electrical and Electronic Technology
★নন সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড লোকজনের জন্য এ পার্ট টা সত্যিই কষ্টকর।
★তাই যতটুকু পারেন, শিখুন। বাকি নম্বর তেমন বেশি বরাদ্দ নেই (১৫)। তাই এ পার্টের খুব বেশি টেনশনের দরকার নেই।
আপাতত, বাকি সব ভুলে কেবল পড়তে থাকুন।
মনে রাখবেন, আপনার ভবিষৎ অাপনার হাতে ই।
প্রথম বিসিএস বলে কোন কথা নাই, এটাই একমাত্র সুযোগ।
শেষ পর্যন্ত অাত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়ে যান।
কষ্ট,চেষ্টা আর পরিশ্রম কখনো বিফলে যায়না।
জীবনের লড়াইয়ে যোগ্যতমরাই টিকে। অার সঠিক পরিশ্রমের মাধ্যমেই যোগ্যতা অর্জন করা যায়।
ভাইভা
★আমার কাছে ভাইভাটা এক্সামের চেয়ে আরও বেশি কিছু। বিশেষ করে বি সি এস ভাইভা যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে!
তাই প্রিপারেশনটাও একটু ভালো করেই নেন। ভাবুন এটাই আপনার একমাত্র ভাইভা। কোন সেকেন্ড চান্স নেই। আপনাকে পারতেই হবে। হলে এবার নয়তো নয়।
★প্রথমেই নিজেকে জানুন।নিজেকে ভাঙ্গুন, বিশ্লেষণ করুন। নিজের দোষ গুলো, যা অন্যক বিরক্ত করে তা নিজেই খুঁজে বের করুন। সেসব দোষ গুলোকে দূরে ফেলে নিজেকে নতুন করে গড়ুন।
★কথা বলুন সহজ, সরল আর স্বাভাবিক ভাষায়। আপনাকে স্মার্ট হওয়ার দরকার নাই, কেবল সহজ আর স্বাভাবিক থাকুন।
★বাংলা আপনার নিজের ভাষা। তাই বাংলা উচ্চারণ শুদ্ধ হওয়া চাই। বিশেষ করে অল্প প্রাণ -মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণ। অর্থাৎ প,ফ, ব,ভ,ড,ঢ, স,শ এসব যাতে সঠিক হয়। আর এটি একদিনে সম্ভব নয়। তাই এখন থেকে প্র্যাকটিস করুন।
★বসার ভঙ্গি থেকে শুরু করে মুখের অভিব্যক্তি সবই খেয়াল করুন। সহজ ও সোজা হয়ে বসার অভ্যাস করুন। যাতে নম্রতা ফুটে ওঠে। আই কন্টাক্ট ঠিক রাখুন।প্রশ্নকর্তার দিকে সুন্দর দৃষ্টি রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলুন।
★সব উত্তর জানা কোন নরম্যাল মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই কোন প্রশ্নের উত্তর না পারলেও স্বাভাবিক থাকুন। অনেক উত্তরই আপনি পারবেন না।
★★হয়তো কোন উত্তর আপনি পারেন না। এটাকে সহজে নিন।এবং সহজ ভাবেই বলুন, জানেন না। এটা আপনার প্রতিকূল অবস্থায় কতটুকু ঠিক থাকতে পারবেন, সেটার প্রকাশ।
★হাসি মুখে পরবর্তী প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করুন।
★ হতাশ বা নার্ভাস না হওয়ার চেষ্টা করুন।
★মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে যত সম্ভব জানুন এবং ইতিবাচক ধারণা রাখুন। এটি কেবল ভাইভা নয়, একজন সচেতন নাগরিকের জন্যও অতীত জরুরি।
★আপনার নিজের সাবজেক্টের কমন ও গুরুত্বপূর্ণ টার্ম গুলো ভালো করে জেনে রাখুন।
★কোন বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাইলে, পজিটিভ উত্তর দিন। যেমন :
আমি চেষ্টা করব বা আমি করতে চাই..... না বলে বলুন,
আমি পারবো, আমি করবো। আপনার কণ্ঠে যেন দৃঢ়তা থাকে।
★মেধা যাচাইয়ের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আপনি পাস করেই এসেছেন। এটা আপনার মেধা নয়, সাথে ব্যাক্তিত্ব, মনোভাব, দৃঢ়তা, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা সহ সক্ষমতা দেখার পরীক্ষা।
★তাই Ettiqute & politeness ধরে রাখুন।

সর্বোপরি,

সাম্প্রতিক বিষয়,ক্যাডার চয়েজ, ক্যাডার চয়েজের কারণ, প্রথম তিনটা চয়েজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা, নিজস্ব সাবজেক্টে ভালো জ্ঞান, ১ম ক্যাডার চয়েজের সাথে নিজ সাবজেক্টের সামঞ্জস্যতা দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে স্বচ্ছ ও পজিটিভ ধারণা এবং সাথে ভদ্র, সহজ,সরল এবং স্বাভাবিক রেসপন্সই আপনাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
*উপর্যুক্ত বিষয়গুলো একদিনে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।
তাই তা এখন থেকেই প্র্যাকটিস করুন। এসব বিষয় আপনার ভাইভা নয়ং বরং বাকী জীবনেও লাগবে। যা আপনাকে আরও ভালো ও যোগ্য করে তুলবে।
★প্র্যাকটিসের জন্য বেশ কয়েক জন বন্ধু মিলে Mock Viva দিন। আর নিজেরাই আমাদের ভুল গুলো ধরতাম। এটা অনেক কার্যকরী। আত্ম বিশ্বাস বাড়ায়, সাহস যোগায়।
নিচের টপিকস গুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন :
* Introduce Yourself
*About your own subject
*Consistence between your subject & 1st Choice
*Reason behind your 1st three choices.
*About your own village /City/Town/District
★★*About Recent Issue(Home & Abroad)
*About the Great Liberation War
*About The Father of the Nation.
* Constitution( Only Important Article)
*A brief history of Bangladesh (1940-2000)
২.
যাদের প্রথম পছন্দ প্রশাসন, তারা উপর্যুক্ত বিষয়ের পাশাপাশি নিচের বিষয় গুলোও দেখবেন :
*বাংলাদেশের লোক প্রশাসন, প্রশাসনের ক্রম বিকাশ এবং বর্তমান অবস্থা।
*সরকার, সরকারের বিভাগ
*ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরন নীতি, প্রশাসনের কেন্দ্রীকরন ও বিকেন্দ্রীকরণ।
*বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
*সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীসমূহ
*বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
*যুদ্ধাপরাধীর বিচার
৩.
যাদের প্রথম পছন্দ পররাষ্ট্র, তারা ১ ও ২ নম্বর পয়েন্ট গুলোর পাশাপাশি নিম্নের টার্মগুলোও দেখতে পারেন :
*অান্তর্জাতিক রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি
*আন্তর্জাতিক রাজনীতির গত ১০০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী (১৯০১--২০০০)
*নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা
*বিশ্বায়ন
*পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি
* G-7 ভুক্ত দেশ সমূহের তুলনামূলক রাজনীতি, সরকার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতি (রাশিয়া সহ দেখুন)
*E-11 ভুক্ত দেশ গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি
*উন্নত দেশ সমূহের বিশেষ করে Security Council এর সদস্য রাষ্ট্র (স্থায়ী) গুলোর সরকার ব্যবস্থার তুলনামূলক আলোচনা, বাংলাদেশে ঐ সব রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক। (ভারত সহ দেখুন)
*পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কার্যাবলী ও দায়িত্ব
★পররাষ্ট্র ছাড়া বাকি ক্যাডার যাদের প্রথম পছন্দ, তাদের ইংরেজিতে খুব একটা এক্সপার্ট হতে হয় না। তবে মোটামুটি সহজ এবং শুদ্ধ ভাবে বলতে পারলেই হবে।
★যাদের গলার স্বর খুব ক্ষীণ, তারা আরেকটু লাউড করুন। তবে খুব জোরে নয়।আয়নার সামনে দাড়িয়ে প্র্যাকটিস করতে পারেন। ফোনে রেকর্ড করে নিজেই শুনতে পারেন।
ভাইভা বোর্ডে প্রথম অনেক প্রশ্নের উত্তর না পারলেও, আমি শেষ প্রশ্ন পর্যন্ত স্বাভাবিক আর হাসিমুখে থাকব, আমি একটা ভালো ভাইভা দিবো। এ বিশ্বাসটুকু দারুণ কাজ করে।
সবাই ভালো থাকুন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস এবং 

মানবন্টন।

সর্বমোট--- ২০০ নম্বর
১) বাংলাঃ ৩৫
-> ভাষা - ১৫
-> সাহিত্য - ২০
.
২) ইংরেজিঃ ৩৫
-> ভাষা - ২০
-> সাহিত্য - ১৫
৩) বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ ৩০
-> বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী - ০৬
-> বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ - ০৩
-> বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও আদমশুমারী - ০৩
-> বাংলাদেশের অর্থনীতি - ০৩
-> বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য - ০৩
-> বাংলাদেশের সংবিধান - ০৩
-> বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা- ০৩
-> বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা - ০৩
-> বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন ও অন্যান্য - ০৩
৪) অান্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ ২০
-> সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ্ - ০৪
-> বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ভূরাজনীতি - ০৪
-> আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্টীয় ক্ষমতা সম্পর্ক - ০৪
-> আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও রাষ্টনীতি - ০৪
-> আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি - ০৪
৫) ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ ১০
৬) বিজ্ঞানঃ ১৫
-> ভৌত বিজ্ঞান -০৫
-> জীব বিজ্ঞান - ০৫
-> আধুনিক বিজ্ঞান - ০৫
৭) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ ১৫
-> কম্পিউটার - ১০
-> তথ্যপ্রযুক্তি - ০৫
৮) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতাঃ ৩০
গাণিতিক যুক্তিঃ ১৫
-> পাটিগণিত - ০৩
-> বীজগণিত - ০৬
-> জ্যামিতি - ০৩
-> পরিসংখ্যান ও অন্যান্য - ০৩
মানসিক দক্ষতাঃ ১৫
৯) নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসনঃ ১০
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের সংখ্যা ২৭টি।ক্যাডার গুলো হলঃ
১. বিসিএস(প্রশাসন)
২. বিসিএস (খাদ্য)
৩. বিসিএস (কৃষি)
৪. বিসিএস (বন)
৫. বিসিএস (মৎস্য)
৬. বিসিএস (পশুপালন)
৭. বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)
৮. বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা)
৯. বিসিএস (অর্থনীতি)
১০. বিসিএস (বাণিজ্য)
১১. বিসিএস (পরিসংখ্যান)
১২. বিসিএস (গণপূর্ত)
১৩. বিসিএস (জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল)
১৪. বিসিএস (সড়ক ও জনপথ)
১৫. বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব)
১৬. বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী)
১৭. বিসিএস (কর)
১৮. বিসিএস (পররাষ্ট্র বিষয়ক)
১৯. বিসিএস (স্বাস্থ্য)
২০. বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা)
২১. বিসিএস (তথ্য)
২২. বিসিএস (ডাক)
২৩. বিসিএস (পুলিশ)
২৪. বিসিএস (আনসার)
২৫. বিসিএস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)
২৬. বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল)
২৭. বিসিএস (সমবায়)

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও নম্বর বণ্টন : মোট নম্বর ১১০০ (মৌখিক পরীক্ষাসহ)

(১) সাধারণ ক্যাডারের জন্য :
বিষয় নম্বর
(ক) বাংলা ২০০
(খ) ইংরেজী ২০০
(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০
(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০
(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
(মানসিক দক্ষতা পরীক্ষার MCQ Type ৫০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী মানসিক দক্ষতা বিষয়ের প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর পাবেন। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে)
(চ) সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০
(ছ) মৌখিক পরীক্ষা ২০০
সর্বমোট = ১১০০
(২) প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য :
বিষয় নম্বর বণ্টন
(ক) বাংলা ১০০
(খ) ইংরেজী ২০০
(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০
(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০
(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
(মানসিক দক্ষতা পরীক্ষার MCQ Type ৫০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী মানসিক দক্ষতা বিষয়ের প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর পাবেন। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে)
(চ) সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয় ২০০
(ছ) মৌখিক পরীক্ষা ২০০
সর্বমোট = ১১০০
আশা করি সবাইকে এই সামান্য তথ্য সমূহ দিয়ে সাহায্য করতে পেরেছি।
যেকোনো প্রয়োজনে : ০১৩১০৯৫৩৪৭২
ই-মেইল : meliash691@gmail.com
Reactions

Post a Comment

0 Comments