---মিরাকল মিশন :ফরেস্ট মিসট্রি ---

--লেখকঃ Khalid Hasan---

-------চতুর্দশ পর্ব --------

.

পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি পাশে বিছানায় বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে মায়া। এক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। ঘোর লাগা দৃষ্টি। চোখের পলক পড়ছে না। এই নিষ্প্রাণ চোখদুটো দেখলেই বুকটা ধরাস ধরাস করে।
--কি গো এইভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
আমার কথায় মায়ার ভাবনায় ছেদ পড়লো
--দেখছি আমার রাজাকে। প্রান ভরে দেখছি। আজ তুমি চিরদিনের জন্য আমার হবে। রাত হলেই অমাবস্যা। আর আজ রাতেই তোমাকে আমার করে নিবো। ভাবতেই কতো ভালো লাগে তাইনা?
--হুম হুম তাইতো আজ তো আমরা চিরদিনের জন্য এক হয়ে যাবো। তোমার আমার মনের আশা পূরন হবে আজ।
অনেক কষ্টে বললাম কথাটা। আমি মরবো আজ আর ডাইনিটার খুব মজা লাগছে। শালিকে কি করতে মন চায়। ইচ্ছে করছে ডাইনিটার চুলের মুঠি ধরে কয়টা উথালপাথাল দিই কিন্তু আমি তা পারছি না। অসহায় লাগছে নিজেকে। শালি যদি ডাইনি রাজ্যের রানি না হতো তাহলে আমি আর আমার মেজাজটা কন্ট্রোলে রাখতে পারতাম না। ডাইনিটার সামনে মেজাজটা অনেক কষ্টে কন্ট্রোলে রাখতে হচ্ছে। আমি ভাবনায় চলে গেলাম। ভাবনায় মায়ার চুলের মুঠি ধরে উথালপাথাল মারতে লাগলাম। তখনই ভেসে উঠলো মায়ার ডাইনি চেহারাটা চিৎকার করে উঠলাম।
.
মায়া এখনো তাকিয়ে আছে আমার দিকে ।
--এই কি হলো চিৎকার করছো কেনো?
আমি চোখ বন্ধ করে বুকে হাত দিয়ে বিরবির করতে লাগলাম..
উফ কি বিভৎস
--এই বিরবির করে কি বলছো?
আমার কাধেঁ হাত দিয়ে বললো মায়া। আমি চমকে উঠলাম।
--হা .. না না কিছুনা কিছুনা
--উফ তোমাকে নিয়ে আর পারিনা। আজ রাতে প্রস্তুত থেকো। আজকে তুমি আমার হবে। অনেক কিছুই করতে হবে। মাঝরাতে এইখানে থাকবে। তোমার বন্ধুরা যেনো না থাকে। তুমি একা থাকবে।
--হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক আছে।
.
মায়া চলে গেলো কথাগুলো বলে। কোথায় গেলো জানিয়ে গেলোনা। সম্ভবত রাজসভায়।
আমি এই ফাকে রিমিদের সাথে দেখা করতে গেলাম। সবাই খুব ফুর্তিতে আছে দেখলাম। গল্পে মজে আছে। বাহ বাহ সবাই আজ রাতে মরতে যাচ্ছি আর উনারা খুব খুশিতে আছে। মনে হচ্ছে বিয়ের বাড়িতে আছে। আমাকে দেখেই রিমি বলে উঠলো ..
--কি রাজা মশায় এত চিন্তিত কেনো লাগছে?
--আজ রাতে মরতে যাচ্ছি না জানি কপালে কি আছে চিন্তা করবো নাতো কি নাচবো?
চিৎকার করে বললাম কথাটা ..মেজাজটা ঠিক নেই
--আমার মনে হয় রাজা মশায়ের মেজাজটা ঠিক নেই।
..অন্যদিকে তাকিয়ে বিরবির করে বললো রিমি
।আমি রিমির কথায় আর কিছু বললাম না। না জানি কি হবে আজ। চিন্তায় বসে পড়লাম।
--এত চিন্তা করছিস কেনো? তরলটা কবজা করার জন্য যা লাগে তা তো আমাদের কাছে আছেই। এখন শুধু রাত হওয়ার আগেই সেটা হাতে পেলেই হয়।
..আমার কাধেঁ হাত রেখে কথাগুলো বললো আসাদ। আম্রাথু আর রাহাত ও অভয় দিতে লাগলো। তখন রিমি আমার হাত ধরে ফেললো ..
--খালিদ আমি জানি তুই আমাদের সবাইকে উদ্ধার করতে পারবি। তুই সাথে থাকলে আমি কখনো কোনো কিছুতেই ভয় পাইনা। কারণ আমি জানি তুই নিজের জীবন দিয়ে হলেও আমাদের রক্ষা করবি। আর আমার ভালোবাসা যদি সত্যি হয় তো বিশ্বাস রাখ আমরা এখান থেকে বেচেই ফিরবো।এখন তুই যা দিনের বেলা থাকতেই তরলটা নিয়ে আয়। আর মায়া দেখে ফেললে কিন্তু সব শেষ হয়ে যাবে তাই সাবধানে।
..আমি রিমির কথা শুনে বুঝতে পারলাম আমার উপর সবার অগাধ বিশ্বাস। তাড়াতাড়ি কাজে লেগে যেতে হবে।সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম ..
--আমি যাচ্ছি তরলটা চুরি করতে। আজ রাতে সবাই পালানোর প্রস্তুতি নিয়ে থাকবি। মাঝরাতে আমি মায়ার শরীরে তরলটা প্রয়োগ করার পর আর এখানে থাকা যাবে না। তাড়াতাড়ি পালাতে হবে।
--কিন্তু পালানোর পথ কোনদিকে?
একসাথে জিজ্ঞেস করলো সবাই। আমি দূরের পর্বতের দিকে ইশারা করলাম।
--ওইযে পর্বত দেখা যাচ্ছে সেই পর্বতের গায়ে একটা গুহা আছে। সেই গুহা দিয়েই পালাবো। গুহাটা একদম সেই জঙ্গলে গিয়ে ঠেকেছে যেখান থেকে আমরা এখানে এসেছি।
--তাই নাকি! এত কিছু কি করে জানলি? রিমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো আমায়। আমি একটা রহস্যের হাসি দিলাম আর বললাম ..
--এত কিছু তোর জানতে হবেনা। তোকে একটা তলোয়ার দিয়েছিলাম সেটা কোথায় রেখেছিস? তলোয়ার টার ক্ষমতা তো জানিস ই ওইটা সাথে রাখবি রাতে পালানোর সময়।
--কেন তুই কি ওটা নিয়ে যাবি বাড়িতে?
রিমির কথায় হাসি পেলো খুব। হাসি চেপে রেখে বললাম ..
--হুম আমার রানীর দেয়া গিফট ফেলে দিই কি করে বলতো
...রিমি রেগে যেতে লাগলো আমার কথা শুনে। আমি আর এক মূহুর্ত দাড়ালাম না। দাড়ালেই ঝগড়া শুরু হয়ে যাবে। আমি দৌড় দিলাম অন্দরমহলের দিকে। পেছন থেকে রাহাত আর আসাদ চিৎকার করে বলতে লাগলো ..
--বেস্ট অব লাক
আমি শুধু শুনলাম আর দৌড়াতে থাকলাম। পিছনে তাকালাম না। কারণ পিছনে তাকালে হয়তো রিমির রাগমাখা চোখ দুটোর প্রেমে পড়ে যাবো। এখনতো প্রেম করার সময় নেই আমার। কত কাজ বাকি আছে এখনো।
.
আবার সেই জাদুজগতে ঢুকতে লাগলাম। আঙ্গুর ফলগুলো পচে গেছে। যাইহোক কাজে দিচ্ছে সেগুলো। সেগুলো লক্ষ করে আবার ঢুকতে লাগলাম আয়নার জগতে। ফোনের ফ্লাশ লাইটটা জালিয়ে নিলাম। মোমগুলো নিভু নিভু হয়েছে তাই পথ চলতে অসুবিধা হচ্ছিলো। ফোনের ফ্লাশ লাইটের আলোয় দিব্বি এগিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা শব্দ করে উঠলো ..
--টুট টুট টুট
এই খেয়েছে আমার ফোনের আর পনেরো পার্সেন্ট চার্য বাকি আছে। কত যত্নে ফোনের চার্যগুলো এতদিন পর্যন্ত ধরে রেখেছিলাম আজ কাজের সময় যদি ফোনটা গুটিবাজি করে তাহলে লাভ কি!
.
যাক তারপরও এগিয়ে যেতে লাগলাম। জাদু জগতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই যেনো চমকে উঠলাম। কি অন্ধকার রে বাবা। ফ্লাশ লাইটের আলোয় কাচের বাক্সটা খুজে বের করলাম। এখন শুধু পাসওয়ার্ড থুক্কু মন্ত্রটা প্রয়োগ করার পালা। মায়ার রেকর্ড করা মন্ত্রটা ফাইল ম্যানেজার থেকে বের করে প্লে করে দিলাম। কিছুক্ষণ পর বাক্স থেকে কারেন্ট এর দেয়ালটা চলে গেলো। প্লে লিস্টের রেকর্ড টা পজ করে রাখলাম। এরপর বাক্সে হাত ঢুকিয়ে তরলে চুবানো ইনজেকশন টা তুলে নিলাম। সেটা পুরোটা তরলে ভর্তি করে নিলাম। মুখে আমার একটা পৈচাশিক হাসি ফুটে উঠেছে। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলোনা। চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম মূর্তিগুলোর চোখগুলো জলে উঠেছে। পেত্নির মতো করুন সুরে কান্না করতে শুরু করে দিয়েছে। সেই কান্না শুনলেই গা শিউরে উঠে।
.
আমার খুব ভয় লাগতে শুরু করে দিলো। ইঞ্জেকশন এর সুচ এর ঢাকনা আটকিয়ে নিয়ে সেটা পকেটে রেখে দিলাম। মূর্তিগুলো কাদছে কেনো এতো! ওহ মনে পড়েছে আজ তো অমাবস্যা। আজ সব শয়তান জাগ্রত হবে। এরা এখন থেকেই জাগ্রত হয়ে গেছে দেখছি। নাকি আমি ইঞ্জেকশন টা চুরি করলাম তাই ভয় দেখাচ্ছে! আমার মাথায় কিছু খেলছে না। কান্নার শব্দে মাথা ঝিমঝিম করছে। তাড়াতাড়ি করে ফোনের প্লে লিস্টের রেকর্ড ফাইলটা প্লে করে দিলাম। কারেন্টের দেয়াল তুলে দেয়ার জন্য মন্ত্রটা শুনাতে হবে। কিন্তু ফোনটাও গুটিবাজি করে বসলো তখনই। চার্য শেষ তার মানে আমি শেষ। এখন আমি এখান থেকে বের হবো কেমন করে। খুব অন্ধকার যে! একটা মোমবাতি ও আর জলছে না। অন্ধকারে আটকে গেলাম আমি। এখন আলো না থাকলে কিছুতেই আমি এখান থেকে বের হতে পারবো না। কারণ একবার ভুল গলিতে চলে গেলে রাস্তা হারিয়ে গোলক ধাঁধায় আটকে পড়বো। তখন আমাকে আর কেউ খুজে পাবেনা আর আমিও কাউকে খুজে পাবোনা। এদিকে মূর্তিগুলোর করুন সুরের কান্নার শব্দ আরো বেড়ে যেতে লাগলো। হঠাৎ কানের কাছে কারো খিলখিল হাসির শব্দ পেলাম। মেরুদণ্ড বেয়ে একটা হিমেল স্রোত বয়ে গেলো। পিছনে ঘুরে দাড়ালাম। হাত দিয়ে হাতরে দেখলাম না কিছুই হাতের স্পর্শ পেলো না। উফ কি হচ্ছে এসব আমার সাথে! আমি কি এই অন্ধকারেই মারা পড়ে যাবো! বসে পড়লাম গ্রাউন্ড ফ্লোরে। মূর্তিগুলোর চোখের জলন্ত আভাটা আরো বেড়ে যাচ্ছে। হায় আল্লাহ ... যদি এই মূর্তিগুলোতে জাগ্রত আত্মা ভর করে তাহলে তো আমাকে খেয়ে ফেলবে। না আমাকে বেরুতেই হবে এখান থেকে। কিন্তু আগুন জালানোর জন্য কিছুই পেলাম না। ইশ আগেই যদি আগুনের ব্যবস্থা করে নিতাম। এখন যদি মায়া এখানে এসে আমাকে দেখে ফেলে তাহলে তো আমি সেই তরল ভর্তি ইঞ্জেকশন সহ ধরা পড়ে যাবো। সব প্লান ভেস্তে যাবে তাহলে।
.
ঠিক এমন সময় দেখলাম মোমবাতি হাতে কেউ আয়না দিয়ে জাদু জগতে প্রবেশ করছে। ওহ নো মায়া এসে গেছে তাহলে আমি ধরা পড়ে গেলাম। বেচে থাকা আর হলোনা। চোখের সামনে আমার বন্ধুদের চেহারা ভেসে উঠতে লাগলো। নিজেকে একটু বাক্সের আড়াল করে নিলাম। আর চোখের জল ফেলতে লাগলাম। পারলাম না বন্ধু আমি তোদের বাচাতে পারলাম না।
.
হঠাৎ কেউ একজন খালিদ বলে চিৎকার করলো। আমি কান পেতে শুনলাম। মূর্তিগুলোর করুন কান্নার শব্দে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। কান পেতে রইলাম।আরো কয়েকবার কেউ আমার নাম ধরে ডাকলো। আরে তাজ্জব ব্যাপার এটা তো মায়ার কন্ঠ নয়। কোনো ছেলে মানুষের কন্ঠ এটা। তার মানে মায়ার হাতে ধরা পড়িনি। বাক্সের ওপাশ থেকে বের হয়ে আসলাম। এসেই দেখলাম রবিন মোমবাতি হাতে দাড়িয়ে আছে ..
--আরে রবিন তুমি এখানে কিভাবে?
--হ্যাঁ।তরলটা নিয়েছো?
--হ্যাঁ
--এখান থেকে চলো জলদি।মূর্তিগুলো জেগে উঠবে আজ। মানুষের গন্ধ পেলেই আক্রমণ করবে।
--তাইনাকি! কিন্তু বাক্সটা খোলা রয়ে গেছে।
--ওটা থাক। তুমি আগে এখান থেকে চলো।
রবিন আমার হাত ধরে টেনে আয়না দিয়ে ঢুকে পড়লো। সাথে সাথে মূর্তিগুলোর করুন কান্না থেমে গেলো। মোমবাতির আলোয় পথ দেখে অলিগলি দিয়ে যেতে লাগলাম।
--আচ্ছা রবিন তুমি বলেছিলে তুমি এখানে আসার রাস্তা জানোনা। কিন্তু এখন কিভাবে এলে? আর মায়া যদি তোমাকে দেখে ফেলে?
--মায়া তোমাকে সন্দেহ করতে শুরু করেছে। আর আমাকে বলেছে তোমার উপর নজর রাখতে।
--হা হা বেড়ালকে দিয়েছে মাছ পাহাড়া দেয়ার দায়িত্ব।
--হুম। আর আমি তোমাকে ফলো করতে করতে দেখলাম তুমি এই আয়না দিয়ে প্রবেশ করছো। তখনই তোমার পিছু নিলাম। কিন্তু তোমাকে হারিয়ে ফেললাম অলিগলির ভেতরে। তুমি কোন গলি থকেে কোন গলিতে গেলে আর দেখলাম না। তখন মোম জালিয়ে নিচে দেখলাম পচা আঙ্গুর ফল পড়ে আছে। তখনই বুঝলাম এটা তোমারই বুদ্ধির উদাহরণ।
--বুদ্ধি দেখি তোমারো কম নয় রবিন।
--হা হা। তাহলে আজ রাতে মায়াকে শেষ করছো তো মুক্তি দিচ্ছো তো আমাদের?
--ভরসা রাখো রবিন। আশা করি আমি কাউকেই হতাশ করবো না মায়াকে ছাড়া।হাহাহা ।
.
কথা বলতে বলতে জাদুজগত থেকে বের হয়ে এলাম৷ বের হয়েই দেখি মায়া কয়েকজন দাসীর সাথে আমাদের সামনে রাগি চোখ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। এই খেয়েছে ধরা খেয়ে গেলাম নাকি। রাত হওয়ার আগেই বুঝি সব শেষ। মায়া রাগি লুক নিয়ে রবিনের দিকে তেড়ে এসে সজোরে একটা থাপ্পড় বসালো। সেই চরের শব্দেই আমার কান ঝালাপালা হয়ে গেলো। এই চর যদি আমি খেতাম তাহলে বয়রা হয়ে যেতাম। একটা ডাইনির হাতে এত শক্তি থাকে!
--এই হারামজাদা তুই কোথায় গেছিলি? রক্তমাখা লাল দুটো রাগি চোখ নিয়ে রবিনকে জিজ্ঞেস করলো মায়া। আমার তো প্যান্ট ভিজে যায় যায় অবস্থা। রবিন ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো ..
--রানীমা আপনি তো বলেছিলেন মহারাজকে যেনো চোখে চোখে রাখি?
--হ্যাঁ কিন্তু তুই আয়নার জগতে গিয়েছিস কেনো?
--মহারাজ তো ওইদিকেই গেছিলো তাই আমিও তার পিছু নিয়েছি।
--তুই যদি আমার খাশ গোলাম না হতি এতক্ষণে তোর মাথা আলাদা করে দিতাম। যাহ এখান থেকে অনেক হয়েছে।
..রবিন সেখান থেকে প্রস্থান করলো। মায়া এইবার আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
ওরে বাবা আমাকেও চর মারবে নাকি। আমি শেষ তাহলে।ডান চিপ দিয়ে একটা ঘামের ফোটা গড়িয়ে পড়তে লাগলো অনুভব করলাম সেটা। কিন্তু ঘামটা মুছে নেয়ার শক্তিটাও হারিয়ে গেছে। মায়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু একটা বলবে এবার।
.
.
----চলবে ----
Reactions

Post a Comment

0 Comments