--মিরাকল মিশন :ফরেস্ট মিসট্রি ---

--লেখকঃ Khalid Hasan---

-------পঞ্চদশ পর্ব --------

.

মায়া সূক্ষ্ম গলায় জিজ্ঞেস করলো আমায় ..
--কোথায় গিয়েছিলে খালিদ?
মায়ার নরম সুর শুনে বুঝলাম মেয়েটা এখনো আমার উপর দুর্বল। দুর্বল পয়েন্ট টাকে কাজে লাগিয়ে পাশ কাটাতে হবে। তাই নাটক করা লাগবে।
--জাদুজগতে ঘুরতে গিয়েছিলাম
--আমাকে না বলেই! আমাকে বলতে একসাথে যেতাম। আর তুমি রাস্তা চিনলে কিভাবে!
--হাহা.. আমি রাস্তা চিনতে পারবো না? এই নাহলে আমি তোমার রাজা!
--ওহ তাইতো। তোমার বুদ্ধি দেখছি অনেক বেশি। এই গোলক ধাঁধা তুমি মাথায় কিভাবে আটকালে!
আমি একটা গর্বিত হাসি দিলাম। কিন্তু মায়ার পরের প্রশ্নেই মাথা চক্কর দিতে লাগলো ..
--কিন্তু কি করতে গিয়েছিলে সত্যি করে বলো?
রাগ করে বললো মায়া ..আমি নিজের চেহারায় একটা ইমোশনাল ভাব নিয়ে বলতে লাগলাম
--বললাম তো ঘুরে দেখতে গিয়েছিলাম। আজ রাতেই তো আমি তোমার হবো। আমি কি আজ থেকেই একা একা ঘুরে দেখতে পারিনা? তুমি আমাকে এত্ত সন্দেহ করো আগে জানতাম না। আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই আমি নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে এখানে সারাজীবন তোমার সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর তুমিই কিনা আমাকে সন্দেহ করলে। তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসোনা। যদি বাসতে তাহলে আমার নজরদারি করার জন্য লোক লাগাতে না।
..আমার কথায় দেখলাম মায়ার মন গলতে শুরু করেছে ..
--খালিদ আমায় মাফ করে দাও। আমি বুঝতে পারিনি। ভুল বুঝেছি তোমায়। আর কখনো এমন হবেনা। এখন বুঝলাম তুমি আমায় কতটা ভালোবাসো।
--মাফ করবো এক শর্তে
--বলো কি শর্ত? তুমি যা করতে বলবে তাই করবো আমি।
--আজ আর তুমি জাদুজগতে যাবেনা। আজ কোনো পূজা আর্চনা হবেনা। আজ তুমি সারাদিন আমার সাথে অন্দরমহলে থাকবে।
--ওহ এই কথা। ঠিক আছে রাজা। আর রাতের তো আর বেশিক্ষণ নেই। আজ রাতেই তো আমরা এক হয়ে যাবো।এখন চলো তাহলে।
...মায়া আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। উফ বাবা বাচা গেছে। জাদুজগতে গেলে মায়া দেখতো সেই কারেন্ট এর দেয়ালযুক্ত বাক্সটা খোলা আর সেখানে ইঞ্জেকশন টা নেই। হা হা। বোকা মেয়ে আমার কথার জালে আটকে গেলো। পকেটে হাত দিয়ে ইঞ্জেকশন টা চেক করে নিলাম। হ্যাঁ আছে ভালোভাবেই লোড করা। চাপ খেয়ে তরল গুলো বেড়িয়ে গেলে আবার আরেক ঝামেলা হয়ে যাবে।
.
মায়ার সাথে কথা বলছি বসে বসে। আজ রাতে কি কি কাজ আছে সেসবই বলছে আমাকে। আমার সেদিকে খেয়াল নেই। আমি অপেক্ষায় আছি কখন আমাকে মায়া মারতে আসবে আর আমি তরলটা ঢুকিয়ে দিবো তার শরীরে।
.
রাতের শুরু হয়েছে অনেক আগেই। আমার বন্ধুরা হয়তো রেডি হয়েছে পালাবার জন্য। এখন আমি ভালোয় ভালোয় কাজ শেষ করতে পারলেই হয়।
.
মায়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো।
--একি! কি করছো?
--ভয় পেয়ে গেলে নাকি গো!
মায়া আসতে আসতে আমার উপরে উঠতে লাগলো। আমি পকেটে হাত দিয়ে ইঞ্জেকশন টা আবার চেক করলাম ঠিকঠাক আছে কিনা।
--না। কিন্তু কি করতে চাইছো কি তুমি?
--এইবার তোমার গলার শিরায় দাত বসাবো সোনা। প্রথমে রক্তশূন্য করবো তারপর মরে যাবে। এরপর আবার বেচে উঠবে। হা হা হা ..
--সেকি! এমন হবে কেনো?
--আরে এমনটাই তো হবে। এইভাবে না মারলে তো জীবন ফিরে পাবে কি করে? তুমি কোনো ভয় পেয়োনা। খুব আলতো করে মারবো তোমায়। কোনো কষ্ট দেবোনা। প্রথমে একটু লাগবে কিন্তু পরে দেখবে অনেক শান্তি।
..বলে কি! আমি যেনো কুরবানীর গরু! সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে আমাকে কুরবানি দেয়া হবে। আহা!
--এ্যা..তাই বুঝি।
মায়া আমার বুকের উপর উঠে বসেছে। পকেট থেকে ইনজেকশন টা বের করতে অসুবিধা হতে লাগলো। উফ দাত বসানোর আগেই সুচ,টা ফুটিয়ে দিতে হবে।মায়া আসতে আসতে তার মাথাটা আমার গলার কাছে নিয়ে যেতে লাগলো। ওর এলো চুলগুলো আমার মুখে এসে পরলো।এই বুঝি দাত বসিয়ে দিবে। আমি লক্ষ করলাম মায়ার রূপের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। চোখদুটো লাল হয়ে যাচ্ছে ক্রমশই। একদম একটা দানবীতে পরিণত হতে লাগলো। মায়া আমার বুকে এমনভাবে বসেছে যে আমি পকেটে হাত দিয়ে ইনজেকশন টা বের করতে পারছি না। মায়া তার লম্বা একটা জীভ বার করে আমার গলার শিরা চাটতে লাগলো। উফ কামোড় বসালেই আমি শেষ। তাড়াতাড়ি কিছু একটা করতে হবে। মায়াকে ধাক্কা মারার ইচ্ছা হলো কিন্তু পারলাম না। ওর গায়ে যেনো দশটা হাতির শক্তি। মায়ার বিভৎস জিভটা অনুভব করছি আমার গলায়। উফ একটা রাক্ষসী আমায় মেরে ফেলছে আর আমি কিছুই করতে পারছি না।
.
হঠাৎ দরজা খুলে কারা যেনো কক্ষে প্রবেশ করলো। আমি দরজায় দেখলাম আমার বন্ধুদের নিয়ে রবিন এসেছে। রিমি আমার উপর উঠে বসা মায়ার বিভৎস চেহারা দেখে চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে গেলো। চিৎকার শুনে মায়া পিছনে তাকালো। ওদের দেখেই মায়া রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে আমার উপর থেকে উঠে ওদের দিকে যেতে লাগলো। মায়ার চেহারা আবার সাভাবিক অবস্থায় আসতে শুরু করলো।
.
উফ বাবা আমি যেনো হাফ ছেড়ে বাচলাম। মনে হচ্ছিলো একটা হাতি বসে ছিলো বুকের উপর। মায়া অগ্নিশর্মা হয়ে রবিনের দিকে গেলো..
--গোলামের বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় এখানে ঢুকে আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটানোর?
রবিন কিছু না বলেই দাড়িয়ে রইলো। মায়া আমার বন্ধুদের দেখে আবার রবিনকে বললো ..
--এদের মেরে ফেলার ব্যবস্তা করা হয়নি কেনো এখনো? ওরাও তো আমাদের মতো হবে আজ।
রিমি হঠাৎ উঠে গেলো। আর চিৎকার করে বলতে লাগলো ..
--চুপকর ডাইনি। তুই কি ভেবেছিস আমরা এখানে মরার অপেক্ষায় আছি? আমরা এখানে আছি তোর জারিজুরি শেষ করে দেয়ার জন্য। তোকে শেষ করার সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি আমরা। আমরা চাইলে আগেই পালিয়ে যেতে পারতাম কিন্তু তোকে না শেষ করে গেলে মানুষ মেরে ফেলার ঘটনাটা আবার শুনতে হবে। জঙ্গলে আবার মানুষ হারিয়ে যাবে। কিন্তু আমরা যদি সুযোগ পেয়েও তোকে না শেষ করে যাই তাহলে ভুল হবে। তুই আজই মরবি।
.
রিমির কথা শুনে মায়া হাহা করে হাসতে লাগলো। গগন কাপানো সেই হাসির শব্দ। হাসতে হাসতে বলতে লাগলো ..
--কার এতো শক্তি যে আমাকে মারবে? আমাকে কেউ মারতে পারবে না।আমি যে মৃত।
পিছন থেকে আমি ইঞ্জেকশন টা বের করতে করতে বললাম ..
--কিন্তু আমি তোমাকে ধ্বংস করে দিবো মায়া। শেষ করে দিবো তোমার এই মায়া জাদুর সাম্রাজ্য।
মায়া পিছনে ঘুরে অবাক দৃষ্টি তে তাকালো। আমি আর সময় নিলাম না। মায়া ঘুরে তাকানোর সাথে সাথেই আমি সুচ টা মায়ার শরীরে ঢুকিয়ে দিলাম আর পিস্টনে চাপ দিয়ে সবটুকু তরল তার শরীরে ঢুকিয়ে দিলাম। মায়া অসহায়ের মতো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। সবকিছু যেনো তড়িৎ গতিতে ঘটে গেলো। মায়ার দেহটা লুটিয়ে পড়তে লাগলো। আমি সাথে সাথে তাকে বাহুতে ধরে ফেললাম। রবিনের দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম সবাই। তারও দেহটা লুটিয়ে পড়তে লাগলো। রবিনের চোখে এক ধরনের কৃতজ্ঞতা র হাসি ফুটে উঠেছে। মনে হয় আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়েছে। রবিনের দেহটা ধূলোকণায় পরিণত হয়ে বাতাসে উড়ে যেতে লাগলো। আসাদ রাহাত বাহিরে চলে গেলো। রিমি আমার আর মায়ার পাশে এসে দাড়ালো। আমি মায়াকে আমার বাহুতে নিয়ে বসে পড়লাম। মায়া এখনো অসহায় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের কোনে জমে আছে জল। মায়া আমাকে করুন সুরে জিজ্ঞেস করলো..
--কেনো এমন বিশ্বাস ঘাতকতা করলে খালিদ? আমার ভালোবাসায় কি কোনো কমতি ছিলো?
মায়ার কথায় আমার চোখেও জল এসে গেলো।
--না মায়া, তোমার ভালোবাসার কোনো কমতি ছিলোনা। কিন্তু তোমার ভালোবাসার ধরনটা অন্যরকম ছিলো। যেটা সাধারণ মানুষ নিতে পারে না। আর জীবিত থাকতে কেই বা মরতে চায়? আর আমিতো ভালোবাসি রিমিকে।
--কিন্তু তাই বলে আমাকে এইভাবে শেষ করে দিবে?
--হ্যাঁ,কারণ তুমি থাকলে জঙ্গলে মানুষের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটা চলতে থাকবে। একসময় তোমার কারণে পৃথিবীর মানুষ বিলিন হয়ে যাবে। আর মৃত মানুষ পৃথিবীর বুকে বিচরন করবে। পৃথিবী নষ্ট হয়ে যাবে। আমি তা হতে দিতে পারিনা। তাই তোমার সাথে ভালোবাসার নাটক করলাম। আমি দুঃখিত।
.
মায়া আমার গালে হাত রাখলো আলতো করে।
--তাহলে তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসোনি। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসেছিলাম। অনেক অনেক। কেউ তোমাকে এতটা ভালোবাসা দিতে পারতো না। কিন্তু তুমি সব শেষ করে দিলে। ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি। কিন্তু যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে খালিদ। অনেক কষ্ট।
রিমি আর আমি মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি। রাহাত আর আসাদ এসে গেলো তখনই। এসেই রাহাত বললো..
--ভাইয়া এখান থেকে চল তাড়াতাড়ি। রাজ্যটা ধসে পড়ছে। মানুষ গুলো সব ধূলো হয়ে উড়ে যাচ্ছে। এখন ইমারত গুলো ধূলো হতে শুরু করেছে। আমাদের জলদি পালাতে হবে এখান থেকে।
আমি মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। সে এখনো আমার দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে। আসাদ আর রাহাত কে উদ্দেশ্য করে বললাম ..
--আম্রাথু কই? ওর ছেলেসহ তোরা সবাই বাহিরে গিয়ে অপেক্ষা কর আমি আর রিমি আসছি।
সবাই চলে গেলো বাহিরে। রিমি আমাকে টানতে লাগলো যাওয়ার জন্য। আমি মায়ার অসহায় চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ তার শরীরে পরিবর্তন আসতে শুরু করলো। তার শরীর বেলি ফুলের পাপড়িতে পরিণত হতে লাগলো। আসতে আসতে পুরো দেহটা বেলি ফুলের পাপড়ি হয়ে উড়ে যেতে লাগলো। মায়ার হাতটাও বেলি ফুলে পরিণত হয়ে উড়ে যেতে লাগলো। কিন্তু আমার হাতে আমি একটা লাল গোলাপ পেলাম। তাজা গোলাপ।উজ্জ্বল গোলাপ ফুলটা সুরভির সাথে আলোক রশ্মি ছড়াচ্ছে। আমি সেটা পকেটে পুরে নিলাম। সারা ঘরে ফুলের সৌরভ। রিমি আর আমি তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। তখনই মায়ার একটা কথা মনে পড়ে গেলো। মায়া বলেছিলো, আমি চাইলে সে আকাশে ফুলের বৃষ্টি ঘটাবে। আমি গোলাপ ফুলটা হাতে নিয়ে একটু শুকে নিলাম। রিমি তখনই টান দিয়ে বললো..
--খালিদ তাড়াতাড়ি চল এখান থেকে। প্রাসাদ টা ধসে পড়বে।
.
আমরা হাত ধরে দৌড় দিলাম। বাহিরে গিয়ে দেখি সবাই প্রস্তুত হয়ে আছে। আমি সাম্রাজ্য টা একটু চোখ বুলিয়ে নিলাম। পুরো সাম্রাজ্য ধূলোয় পরিণত হচ্ছে। আমরা সবাই পর্বতের উদ্দেশ্য দৌড় লাগালাম। সেখানে গিয়েই দেখি গুহার মুখ বন্ধ। গুহায় বড় বড় পাথর দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়া।
.
আমি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম ..
--সবাই জলদি হাত লাগাও। পাথরগুলো জলদি সরাতে হবে। একটু পর জায়গাটা পানিতে ডুবে যাবে।
আসাদ জিজ্ঞেস করলো..
--ডুবে যাবে! কি করে বুঝলি?
--পিছনে দেখ রাজ্যটার চারদিক থেকে পানির ঢেউ গ্রাস করে নিচ্ছে। একটু পরেই তলিয়ে যাবে। আমরা গুহায় ঢুকতে না পারলে এই তিনশো ফুট গভিরে পানির নিচে আটকে যাবো।
রিমির মুখে একটা অসহ্য ভাব ফুটে উঠলো ..
--মনে হয় মায়াকে মেরে আরো ফেসে গেলাম। জলদি হাত লাগা সবাই।
.
বড় বড় পাথরগুলো সরাতে আমাদের অনেক কষ্টই হলো। তবে সফল হলাম। সবাই গুহার মুখে একটা সিরি দেখতে পেলাম। উপরের দিকে উঠে গেছে। সবাইকে নিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকে উপরে উঠতে লাগলাম। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে দেখলাম গুহার মুখ দিয়ে পানি ঢুকছে। সবাইকে বললাম ..
--জলদি উপরে উঠতে হবে। তানাহলে পানিতে ডুবে যাবো আমরা।
সবাই জোরে জোরে পা চালাতে লাগলাম। তিনশো ফুট উপরে যেতে হবে। আর তাহলেই সেই জঙ্গলে পৌঁছে যাবো। কিন্তু কিছুদূর গিয়েই অন্ধকারে ডুবে গেলাম সবাই। কিছুই দেখা যাচ্ছে না সামনের। রিমি একবার হোচট খেয়ে পড়ে গেলো। আমি ধরে ফেল্লাম ওর হাত। সবাই অন্ধকারে আর এগুতে পারছি না। বার বার হোচট খাচ্ছি কিছু জিনিসের সাথে।
.
আসাদ বললো..
--আমাদের আলোর ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। এই অন্ধকারে হাটতে অসুবিধা হচ্ছে।
আমি আসাদকে থামিয়ে দিয়ে বললাম.
--মামার বাড়ির আবদার নাকি! এখানে কোনো আলোর উৎস নেই। তাছাড়া আজ অমাবশ্যার ঘোর অন্ধকার।
.. রিমি চিৎকার করে বলতে লাগলো ..
--আমার পায়ে পানি লাগছে। মনে হয় পানিতে ডুবে যাবো এই অন্ধকার গুহায়। হাটার গতি বাড়াও সবাই। নইলে পানি আমাদের ডুবিয়ে নিয়ে যাবে তিনশো ফুট গভীরে।
সবাই হাটার গতি বাড়ালাম। কিন্তু অন্ধকারের সাথে পেরে উঠছি না। বার বার কিছু জিনিসের সাথে হোচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছি আমরা।
.
.
-----চলবে-----
Reactions

Post a Comment

0 Comments