---মিরাকল মিশন :ফরেস্ট মিসট্রি ---


--লেখকঃ Khalid Hasan---

------অন্তিম পর্ব --------



.
আমি হোচট খেয়ে পড়ে গেলাম।সাথে সাথে আমার পকেট থেকে গোলাপ ফুলটা বেরিয়ে গেলো ছিটকে পড়লো একটু দূরে। গোলাপ ফুলটা আলো ছড়াচ্ছে চারদিকে। আরে আমিতো এটার কথা ভুলেই গেছিলাম। টেনশনে ভুলেই গেছিলাম। সবাই তাকিয়ে দেখছে গোলাপ টা। আসাদ গোলাপ টা হাতে কুড়িয়ে নিলো আর বলে উঠলো ..
--আরে খালিদ এটা কোথা থেকে এলো?
--আরে এটাতো আমার পকেটেই ছিলো।মায়া ধ্বংস হওয়ার সময় আচমকা আমার হাতে চলে আসে এটা। চল ভালোই হলো। এখন জলদি জলদি এটার আলো দিয়ে আমরা এগিয়ে যাই।
.
গোলাপ ফুলটার অলৌকিক আলোয় আমরা সামনে এগিয়ে যেতে লাগলাম। কিন্তু যেতে যেতে হঠাৎ আসাদ গোলাপ ফুলটা ফেলে দিয়ে চিৎকার করে উঠলো..
--আরে এটা এতো উত্তপ্ত হয়ে উঠলো কেনো?
রিমি বলে উঠলো..
--ফুলটা ফেলে দিলি কেনো?
.
আমি সামনে দেখলাম একটা আয়না। আমার মনে হচ্ছে আয়নার ভিতরে ঢুকলেই আমরা জঙ্গলে চলে যাবো। কিন্তু ফুলটার দিকে তাকাতেই চোখ চরকগাছে। ফুলটা থেকে ধোঁয়া উঠছে। আর আলোটা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে আলোটা বের হচ্ছে আর আয়নার ভিতরে যাচ্ছে। আয়নায় সবাই লক্ষ করলাম আমরা। আয়নায় আমাদের কারো প্রতিবিম্ব নেই। তার বদলে একটা জাঁকজমকপূর্ণ পোশাকের মেয়ের প্রতিবিম্ব ফুটে উঠছে। তার শরীর থেকে আলোর বিচ্ছুরন হচ্ছে। মুখ পর্দা দিয়ে ঢাকা। আসাদ পিছনে তাকিয়ে দেখে আমার কানে ফিসফিস করে বললো..
--দোস্ত পিছনে পানি। আর সামনে আর একটা নতুন বিপদ মনে হচ্ছে। এখন কি হবে আমাদের?
--ভরসা রাখ বন্ধু। কিছু একটা করবোই। যত বিপদই আসুক লড়াই করবো বুদ্ধি দিয়ে।
.
আয়নার মেয়ের প্রতিবিম্ব টা এগিয়ে আসতে লাগলো আমাদের দিকে। একসময় আয়নার ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের সামনে দাড়ালো। আমরা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম সবাই। মেয়েটা তার মুখ থেকে পর্দা সরাতে লাগলো। পর্দা সরাতেই আমরা সবাই অবাক হয়ে গেলাম। আরে এটাযে মায়া!!!
.
মায়া অট্টহাসিতে মেতে উঠলো।
--কি ভেবেছিলে খালিদ, আমাকে শেষ করে আমার এই মায়ার জগৎ থেকে বেরিয়ে যাবে! হাহাহা ,তা কি করে হয়? তুমি আমার ভালোবাসা নিয়ে ছলনা করেছো, আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছো,আমার সাম্রাজ্য ভেংগে দিয়েছো,আমার গোলামদের শেষ করে দিয়েছো আর আমি তোমাকে এমনি এমনি যেতে দেবো?
মায়ার কথাগুলো শুনে আমি ঢোক গিলতে লাগলাম। সবাই চিন্তাযুক্ত চোখ নিয়ে আমার দিকে তাকাতে লাগলো। আমি মায়াকে জিজ্ঞেস করলাম ..
--কিন্তু তুমিতো শেষ হয়ে গেছিলে, আবার বেচে উঠলে কিভাবে?
আমার কথা শুনে মায়া আবার একটা অট্টহাসি দিলো..
--আমাকে শেষ করবে .. বোকা ছেলে। তুমি শুধু আমার দেহকে শেষ করেছো। কিন্তু আমার আত্মাকে শেষ করা সহজ নয়। অবশ্য আমার সবকিছুই শেষ করে দিয়েছিলে তুমি। কিন্তু সেই গোলাপ ফুলে আমার আত্মাটা ছিলো। আর তুমি সেটা নিয়ে এলে। তুমি যা কিছু করেছো তা অনেক খারাপ করেছো। আমি এখন প্রতিশোধ নিবো। আমার দেহকে মারা সহজ ছিলো কিন্তু এখন আমার এই আত্মার সাথে কিভাবে লড়বে খালিদ? আমার সাথে মোকাবিলা না করে তো তোমরা এখান থেকে যেতে পারবে না। হা হা হা ...
মায়া আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমি পাথরের মূর্তির মতো দাড়িয়ে রইলাম। রিমি আসাদ রাহাত আম্রাথু সবাই আমার দিকে অসহায় হয়ে তাকিয়ে আছে। আমার মাথা কাজ করছে না। এখন কি করবো। মায়া আমার কাছে এসে দাড়িয়ে পড়লো ..
--খালিদ, আমার যত ক্ষোভ এখন তোমার উপর। আমার সমস্ত অস্ত্র দিয়ে আমি তোমাকে মেরে ফেলবো। মেরে প্রতিশোধ নিবো।তোমার রক্ত দিয়ে গোসল করবো আমি। আর তারপর আবার মায়া জগতের সৃষ্টি করবো।
.
কথাগুলো বলেই মায়া চোখ বন্ধ করে কি যেনো বলতে লাগলো। আর সাথে সাথে আমার শরীর জলতে শুরু করলো। মনে হচ্ছে আমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আগুন দেখা যাচ্ছে না। আমি চিৎকার করতে লাগলাম।
.
তখনই আসাদ আর রাহাত দৌড়ে এসে মায়াকে আটকাতে লাগলো। কিন্তু মায়া তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দিলো দূরে। মায়ার শরীরে যেনো অশুরের মতো শক্তি। আমি শরীরের জালায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। সবাই অসহায়ের মতো আমাকে দেখতে লাগলো। সবাই যেনো মায়ার এই অশুভ মায়া শক্তির কাছে নিরুপায় হয়ে গেছি। মায়া আমার মুখের কাছে এসে খিলখিল করে একটা হাসি দিয়ে বলতে লাগলো ...
--এইবার দ্যাখ কেমন লাগে ..
আমি মায়ার পিছনে তাকিয়ে দেখলাম রিমি একটা তলোয়ার নিয়ে দাড়িয়ে আছে মায়ার পিঠে ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য । তখনই মনে পড়ে গেলো রিমিকে তলোয়ার টা আমি রাখতে দিয়েছিলাম যেটা মায়া আমাকে উপহার দিয়েছিলো। যেটা দিয়ে দুষ্টু আত্মাদের মেরে ফেলা যায়। আমি একটু সাহস সঞ্চয় করে কুকিয়ে কুকিয়ে মায়াকে বললাম ..
--এইবার দ্যাখ কেমন লাগে
.
কথাটা বলার সাথে মায়ার হাসি মুখটা মলিন হয়ে গেলো। তখনই রিমি মায়ার পিঠ দিয়ে তলোয়ার টা ঢুকিয়ে দিলো। মায়া চিৎকার করে উঠলো।ছটফট করতে লাগলো। রিমি হাসতে হাসতে বলতে লাগলো ..
--অনেক জালিয়েছিস ডাইনি, এখন তোর দেয়া অস্ত্রেই তোকে শেষ করা হলো।
মায়ার আত্মাটা আস্তে আস্তে বাতাসে মিশে যেতে লাগলো। আমার গায়ের জলোনি নেই আর। রিমি অস্ত্রটা তুলে নিতে গেলো কিন্তু আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম ..
--থাক রিমি এটা নিস না আর। নতুন ঝামেলা হতে পারে। এই অস্ত্রটা এই গুহার ভিতরেই থাক।
রিমি তখন আমায় জড়িয়ে ধরলো কেদে কেদে বলতে লাগলো ..
--তুই ঠিক আছিস তো?
--ঠিক থাকবো না আবার! তুই যা দিলি, ভাগ্যিস তলোয়ার টা সাথে করে এনেছিলি।
--আনবো না সবার,তুই তো যত্ন করে রাখতে বলেছিলি।
--হুম এখন ছাড়। তাড়াতাড়ি এই আয়না দিয়ে ঢুকে যেতে হবে।
আসাদ আর রাহাত দেখলাম মাথায় চোট পেয়ে পড়ে আছে মাটিতে। আম্রাথু আর আমি তাদের তুলে নিয়ে আয়না দিয়ে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার সাথে সাথেই দেখলাম আমরা জঙ্গলে চলে এসেছি। আমাদের পাশেই একটা কুয়ো দেখতে পেলাম। আসাদ আর রাহাতের দিকে তাকাতেই দেখলাম তারা একদম সুস্থ।
আসাদ হাসতে হাসতে বললো..
--আরে মাম্মা কতদিন পরে দুনিয়ার মুখ দেখলাম। ভোর হয়ে গেছে দেখছি। জলদি জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে পড়া যাক।
.
সবাই মিলে জঙ্গলের পথ ধরে বেরোতে লাগলাম। আম্রাথু আমাদের পথ দেখিয়ে বের করে আনলে। আমি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঘুরে একনজর জঙ্গলটার দিকে তাকালাম। ইশ কতোই না রহস্যময় ছিলো এই জঙ্গল। আজকের পর থেকে আর কখনোই সেই রহস্যময় ঘটনা গুলো ঘটবে না।অবশেষে সব রহস্যের সমাধান হলো আজ।
.
আমরা চলে গেলাম আম্রাথুর গৃহে। আম্রাথু আর তার স্ত্রী তাদের ছেলেকে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি। বিকেলে তাদের বিদায় দিয়ে আমরা চলে গেলাম শরিফ সাহেবের রেস্ট হাউসের দিকে। কতোদিন দেখিনা মজার লোকটাকে।
.
শরীফ সাহেবের বাসার সামনে গিয়ে কলিং বেল চাপলো আসাদ। তখনই বেড়িয়ে এলো লোকটা।চোখে কালো চশমাটা এখনো লাগানো আছে দেখছি। আসাদ হাসতে হাসতে বললো..
--আরে শরীফ আঙ্কেল যে, কতদিন পরে দেখলাম আপনাকে। আসুন মোলাকাত করি।
কিন্তু আসাদ কথাগুলো বলার সাথে লোকটা রেগে গেলো দেখলাম। রেগেমেগে বললো..
--হচ্ছে কি এসব, আমি শরীফ নই আমি তারিফ।
..আমরা সবাই যেনো অবাক হয়ে গেলাম। আরে এ যেনো আরেক রহস্য। জলজ্যান্ত লোকটাকে কদিন আগেই দেখে গেলাম আর এত তাড়াতাড়ি নাম বদলে গেলো! আর আমাদেরও চিনতে পারছে না। তখনই দেখলাম ভিতর থেকে আরেক জন লোক আসছে। তিনি আসার সাথে সাথে আমরা হাই ভোল্টেজের একটা শক খেলাম। দুজন লোক একিরকম দেখতে। দুজনই কালা চশমা পড়ে আছে। সেই লোকটা এসেই যেনো আমাদের দেখে খুশি হয়ে গেলো..
--আরে তোমরা!
আমার দিকে তাকিয়ে বললো..
--আরে ইয়াংম্যান তোমার মিশনের কি হলো? বেচে আছো দেখছি সবাই! জঙ্গলে কি ঢুকেছিলে? নাকি না ঢুকেই ফিরে এসেছো।
.আমি একটা রহস্যের হাসি দিয়ে বললাম ..
.
--আঙ্কেল আমরা জঙ্গলে ঢুকেছিলাম কিনা তা জেনে আপনার কি হবে। জাস্ট জেনে নিন এখন থেকে আর সেই জঙ্গলে আর মানুষ হারানোর মতো রহস্যের ঘটনা ঘটবে না।
.
তিনি একটা হাসি দিয়ে বললেন ..
--আরে সে আমি জানতাম তোমরা পারবে।
আমি পাশের লোকটাকে ইশারা করলাম। আঙ্কেল হাসতে হাসতে আবার বললো..
--ওহ তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। এ হচ্ছে আমার জমজ ভাই তারিফ।তুমিতো ছবিতে দেখেছিলে সেদিন খালিদ। দেয়ালের ওই ছবিটা ওর। হা হা..
তারপর সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। রাতে আমাদের জন্য আবার রেস্টহাউস এ থাকার ব্যবস্থা হলো। কালকেই বাসায় চলে যাবো। অনেকদিন বাহিরে আছি। বাসা থেকে ফোন অন পেয়ে বার বার ফোন দিচ্ছে। না জানি কতো টেনশনে ছিলো সবাই এতোদিন। গেলে পিঠে পড়বে কয়েকটা।
.
রাহাত ফোন চার্যে লাগিয়ে গেইম খেলতে শুরু করছে। আহা কতদিন থেকে গেম খেলেনা বেচারা। আসাদ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু রিমি আবারো ঝামেলা শুরু করেছে ঘুমানোর সময়। আমি নাহলে সে ওইরুমে একা ঘুমাবে না।আবার সেই কাহিনী শুরু। সোফায় ঘুমাতে হবে।রাগ করে বললাম
-- উফ এর চেয়ে মায়ার সাথে ভালো ছিলো।
কথাটা বলার সাথেই রিমি অগ্নিশর্মা হয়ে গেলো ..
--ওই কি বললি তুই?
--ইয়ে নাহ কিছুনা কিছুনা।
--ভুলে যাসনে আমিই কিন্তু ওই ডাইনির হাত থেকে উদ্ধার করেছি তোকে ।
--এহ কি এমন করেছে রে বাবা।
--এতকিছু বুঝিনা। আমি তোকে বাঁচিয়েছি এখন আমি যা বলবো তোকে তাই করতে হবে।
..মেজাজটা গেলো বিগরে। উনি কি মহারানী ভিক্টোরিয়া এলেন রে! ..। মেয়ে বলে কি! বাঁচিয়েছে বলে কি গোলাম বানিয়ে রাখবে নাকি! মাথায় একটা বুদ্ধি এলো তখনই।বললাম ..
--তোর চেয়ে মায়া অনেক বুদ্ধিমান মেয়ে ছিলো।
রিমি অবাক হলো। সাথে সবাই অবাক হলো। অবাক হয়ে রিমি জিজ্ঞেস করলো ..
--কিভাবে?
--মায়া আমাকে রাজা বানিয়ে বিয়ে করে নিজে হতে চেয়েছিলো রানী। আর তুই আমাকে বানাচ্ছিস চাকর আর নিজে হয়ে যাচ্ছিস চাকরের বউ চাকরানী। হা হা
.
রিমি আমার কথা শুনে মাথা চুলকাতে লাগলো। বাকিরা তার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো। যাক মেয়েটাকে দমিয়ে দেয়া গেছে। তখনই রিমি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো..
--তুইতো আমার মনের রাজা।
সবাই চমকে গেলো।
--এই ছাড় ছাড়। ছাড় বলছি।
..এই মেয়েটাকে দেখি আটকানোই যায়না। উফ। রিমি লজ্জামুখে আবার বললো..
--খালিদ একটা কথা বলবো?
এহ লজ্জায় যেনো মরে যায়..
--হ্যাঁ বল।
--কিছু মনে করবি নাতো?
বুঝছি এই মেয়ে এইবার এমন কথা বলবে যেটা শুনে আমার মেজাজ গরম হয়ে যাবে। কথাটা শুনার আগেই কয়টা বসিয়ে দেয়া উচিৎ ছিলো কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে তা হলো না। আমি আবার মেয়েদের উপর হাত তুলি না। রিমি আমতা আমতা করে বললো..
--আমাকে প্রোপোজ কর এখন ..
হায় হায় বলে কি এই মেয়ে! প্রেমে পড়লেন তিনি আর প্রোপোজ করতে হবে আমাকে!
--ওই আমি কেনো প্রোপোজ করতে যাবো? তোর চেয়ে তো মায়াই ভালো ছিলো।সে আমাকে এনে দিতে চেয়েছিলো একশো একটা নীল পদ্ম সহস্র গোলাপ।
--আমি তোকে এনে দিবো।
আমি রিমির কথায় অবাক হয়ে গেলাম। তখনই রিমি খিল খিল করে হেসে বললো..
--পাগল মজা করছিলাম।
--হুহ .. চল আমি ঘুমাবো। সোফায় ঘুমাতে ঘুমাতে ঘাড় বাকাঁ হয়ে যাবে তোর জন্য।
--মায়ার সাথে এক বিছানায় ছিলি আমার সাথে থাকলে কি সমস্যা?
উফ আমি ক্যামনে বুঝাই এই মেয়েরে।ওটা শুধু প্ল্যানিং ছিলো।
--ছি রিমি .. বিয়ের আগে প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে এক বিছানায় রাত কাটাতে নেই।
রিমি হাসতে হাসতে বললো তাহলে সোফাতেই রাত কাটাতে হবে এখন। আমার কথা শুনবি না তুই।
..এহ খায়াদায়া কাম নাই ওর সাথে এক বিছানায় ঘুমাবো। তারপর রাতে আমার ইজ্জতের কিমা দিয়ে ফালুদা বানাবে। এর চেয়ে সোফাই ভালো।
.
সবাইকে গুড নাইট জানিয়ে আমি রিমির রুমের সোফায় শুয়ে পড়লাম। উফ এইকদিন শান্তিতে দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি। কালকেই বাসায় ফিরতে হবে। যাক অবশেষে মিশনটা কম্পলিট করলাম।
.
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেছিলাম প্রায়। কিন্তু তখনই মোবাইলে ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। ফোনটা হাতে নিয়ে ম্যাসেজ টা দেখতে লাগলাম। প্রাইভেট নাম্বার লেখা শুধু। কোনো নাম্বার নেই। ম্যাসেজে ঢুকে পড়তে লাগলাম ..
"ইওর ফার্স্ট মিশন ইজ সাকসেসফুলি কম্পলিটেড.. কংগ্রাচুলেশন এজেন্ট খালিদ।"
এটুকুই লেখা। এমএমএফ থেকে তাহলে আমাকে অভিনন্দন জানানো হলো। কিন্তু ওরা এতকিছু জানে কিভাবে! ধুর যাক সব এখন ঘুমাতে হবে। অবশেষে যেনো ছুটি মিলেছে আজ। বিদায়.. এখন বিশ্রাম নেওয়ার সময়। একটা শান্তির ঘুম দরকার আজ।কিন্তু ঘুমটা কি শান্তির হবে নাকি আবার কোনো একটা মিশন রাতের ঘুম হারাম করে দিবে!
.
.
___________সমাপ্ত____________
.
গল্পটা কেমন লেগেছে সবার? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।কতটা ভালো লেগেছে তা জানিনা। তবে এইটা লিখতে আমার অনেক পরিশ্রম হয়েছে। এমনকি নেটওয়ার্ক বিহীন এলাকায় পোস্ট করতেও কত সমস্যা হয়েছে বুঝাতে পারবো না। । আর হ্যাঁ অবশ্যই খুব শীগ্রই আসবো নতুন কোনো মিশন নিয়ে। নতুন কোনো রহস্য নিয়ে। আশা করি আপনারা পাশে থাকবেন সবসময়।
Reactions

Post a Comment

0 Comments