---মিরাকল মিশন :ফরেস্ট মিসট্রি ---


--লেখকঃ Khalid Hasan ---

-------অষ্টম পর্ব --------

.

চারদিক থেকে জলন্ত চোখগুলো ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমি ওয়ালথার টা হাতে নিয়ে দিক বিদিগ না তাকিয়ে প্রাণপণে ট্রিগারে চাপ দিতে লাগলাম। কিন্তু তাতে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ হলো না। মনে হচ্ছে পৃথিবীর কোনো অস্ত্রই তাদের সাথে লড়তে পারবে না।
.
অনেক কাছাকাছি এসে গেছে জানোয়ার গুলো। আমার ব্যাগটা এখনো কাধেঁ আছে। হঠাৎ মনে হলো ব্যাগে একটা ফল কাটার জন্য ধারালো ছুরি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলাম। ছুরিটা বের করলাম।কিন্তু বুলেট কাজে লাগলো না আর এই ছুরি দিয়ে কি হবে! তারপরও মনের রাগটা থামছে না। ইচ্ছে করছে এই ছুরি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে সবকটাকে মেরে ফেলি। আমার বন্ধুদের আলাদা করে দিয়েছে। তাই এদের কাছে কোনো আপস নয়। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে যাবো আমি। দরকার হলে দুই হাত দিয়ে লড়াই করে যাবো। কিন্তু হার মানবো না।
.
জানোয়ার গুলো অনেক কাছে চলে এসেছে। একটারও চোখ ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। একটা আমাকে ধরার জন্য এগিয়ে আসলো। তখনই আমি ছুরি দিয়ে সেটার গায়ে আঘাত করলাম। আঘাত পেয়ে সে কিছুটা সরে গেলো। আরেকটা পিছন থেকে ধরে ফেললো আমায়। সেটারও হাতে সজোরে একটা কোপ দিলাম। কোপ খেয়ে সেটাও একটু সরে গেলো। এরপর আমার মাথা গরম হয়ে গেলো। সবাই একসাথে আমায় ধরতে আসছে আর আমি কোনোদিকে খেয়াল না করে তাদের যখম করতে লাগলাম। যার যেখানে পাচ্ছি ছুরিটা ঢুকিয়ে দিচ্ছি আর বের করে নিয়ে আবার একটার গায়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছি এভাবে চলতে চলতে অন্ধকারে আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম। শয়তান গুলোকে দেখছি না। সবগুলো একসাথে গায়েব হয়ে গেছে মনে হচ্ছে।
.
আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি। জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম আর চারদিকে তাকাতে লাগলাম। জানোয়ার গুলো কি পালিয়ে গেলো নাকি! কিন্তু আমার ভাবনাকে মিথ্যে করে দিয়ে একটা জানোয়ার সজোরে এসে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো। আমার ছুরিটা হাত ফসকে গিয়ে ছিটকে পরলো দূরে। জানোয়ার টা আমাকে সজোরে চেপে ধরলো দুই হাত দিয়ে। আমি অনেক শক্তি দিয়েও ছাড়াতে পারলাম না নিজেকে। জানোয়ারটার অশুরের মতো শক্তি।সেই শক্তির সাথে আর পেরে উঠলাম না। এতো জোরে জড়িয়ে ধরেছে যে আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছটফট করতে লাগলাম কিন্তু কিছুই হলো না। আস্তে আস্তে আমার শরীরের সব শক্তি শেষ। নিস্তেজ হয়ে যেতে লাগলো আমার শরীর। চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তখন কানে বাজতে লাগলো সবগুলো জানোয়ারের অট্টহাসি। আমাকে কাবু করতে পেরে বেজায় আনন্দিত তারা। আমি আস্তে আস্তে নিজেকে সপে দিলাম তাদের কাছে। আশুরের সামনে আর পারলাম না জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম আমি।
.
.
যখন জ্ঞ্যান ফিরে পেলাম তখন চোখ বন্ধ রেখেই কানের কাছে কিছু কথা শুনতে পেলাম।
--রাণীমা এই হলো সেই যুবক যে আমাদের সাথে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত হার মানেনি। পরে তাকে বোকা বানিয়ে আমরা কাবু করে ফেলি।যুবকের দম আছে বলতে হবে।
--ঠিক আছে তাকে বিশ্রামে রাখা হোক।
..সবাই কিছুক্ষণ পর রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আমাকে রেখে।আমি তাদের কথাবার্তা শুনে কিছু বুঝতে পারছি না আমি কোথায় আছি। তবে তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি কোনো রাজার বাড়িতে আছি। আস্তে আস্তে মাথা তুলতে লাগলাম আমি। আমাকে একটা খাটের উপর শুইয়ে রাখা হয়েছে। চোখ খুলে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম চারিদিকে। এ আমি কোথায় আছি? সাজানো গোছানো বিশাল বড় কক্ষ। দেখে মনে হচ্ছে রাজার বাড়ি। এরকম বাড়ি আমি শুধু টিভিতে মুভিতে দেখেছি। অসম্ভব সুন্দর। সবকিছুতেই আভিজাত্যের ছোয়া। কিন্তু আধুনিকতার ছোয়া নেই। মনে হচ্ছে আমি মধ্যযুগে চলে এসেছি। রাজকীয় সবকিছু।
.
আমি উঠে দাড়িয়ে রুমটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। সাজসজ্জা দিয়ে ভরপুর। এ আমি কোথায় চলে এসেছি! আর আমাকে এখানে কেনো আনা হলো! আর আমিতো জঙ্গলে জানোয়ার গুলোর হাতে মরে যাচ্ছিলাম প্রায়। আর আমার বন্ধুরাই বা কোথায়? মাথায় প্রশ্ন গুলো উকি দিতে লাগলো। কিন্তু কক্ষে কাউকে দেখলাম না। বিছানাটাও অনেক রাজকীয় ভাবে সাজানো। রুমের দরজায় গিয়ে খুলতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। বাইরে থেকে আটকানো সম্ভবত।
.
আমি বিছানায় বসে চিন্তা করতে লাগলাম। হঠাৎ কেউ দরজা খুলে কক্ষে প্রবেশ করলো। আমি তাকিয়ে দেখলাম। আধা বয়সের একটা লোক। উনি আমার সামনে এসে দাড়িয়ে পড়লেন ..
--রাণী মা আপনার সাক্ষাত প্রার্থী। আপনার জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় তিনি বসে আছেন।আপনাকে এখনই দরবারে যেতে হবে।
--রাণী মানে কোন রানী আমি ঠিক বুঝলাম না!
--গেলেই সব বুঝতে পারবেন। এখন চলুন আমার সাথে।
.. আমি আর কিছু না বলেই লোকটার পিছন পিছনে যেতে লাগলাম। গেলেই যখন বুঝতে পারবো তখন আর কথা বাড়িয়ে লাভ কি। কিন্তু মাথায় কিছু খেলছে না। এই বিংশ শতাব্দীতে এসে রাজা রানী বিষয়টা কেমন অদ্ভুত লাগছে। আর আমাকে মেরে না ফেলে এখানে কেনো নিয়ে আসা হলো! সব কেমন অলৌকিক কাজকর্ম ঘটে চলেছে।
.
দরবারে ঢুকেই দেখতে পেলাম অনেক জনসমারহ। একদম রাজাদের রাজদরবারের মতো। মনে হচ্ছে রাজসভা বসেছে। সবার দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। সবাই রাজকীয় পোশাক পড়ে আছে। সবাই আমাকে ঘোর দৃষ্টি দিয়ে দেখছে। তাদের চোখে চোখ পড়তেই মনে হচ্ছে যেনো চোখ দিয়েই আমায় গিলে খাবে। নিষ্প্রাণ চোখ সবার। সবার চোখের মনি মানুষের থেকে আলাদা। একদম ঘোলাটে সেই চোখের মনি। অদ্ভুত সবার চাহনি।
.
আমাকে নিয়ে গিয়ে দার করানো হলো এক রূপবতী মেয়ের সামনে। মাথায় মুকুট পড়া আর রাজকীয় বাহারি পোশাক তা দেখে নিঃসন্দেহে বুঝে গেলাম এই সেই রাণি। সর্ব শরীরে অলংকারে ভর্তি। সিংহাসন এ বসে আছে রাণীর মতোই।
.
আমাকে দেখেই তিনি একটা মুচকি হাসি দিলেন।
--যুবক, তোমাকে মহারাণী মায়ার রাজ্যে স্বাগতম। নাম কি তোমার যুবক?
আমি একটু হতচকিত খেয়ে গেলাম। যেমন রূপ তেমনি গলার কন্ঠস্বর। নাম মায়া চেহেরাতেও যেনো মায়ার ছাপ। আমার জীবনে আমি এত সুন্দরী মেয়ে এর আগে কখনো দেখিনি।
--আমার নাম খালিদ। আমি বুঝতে পারছি না আমাকে কেনো এখানে নিয়ে আসা হয়েছে!
--হা হা হা .. সব বুঝতে পারবে যুবক। এই রাজ্য মানব সমাজ থেকে আলাদা। তুমি নতুন তাই এখনো কিছু বুঝতে পারছো না। আমার খাস গোলাম রবিন তোমাকে সব বুঝিয়ে দেবে পরবর্তীতে। আর এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেও কোনো লাভ নেই। কারণ এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা তুমি জানোনা। তাই যা হচ্ছে তা দেখে যাও। আর উপভোগ করতে থাকো সবকিছু। আমি থাকতে তোমার কোনও ভয় নেই এখানে। তুমি এখানে স্বাধীন ভাবে বিচরণ করবে।
.
উপস্থিত জনগণ কিছুই বলছে না। সবাই রানীর কথা মন দিয়ে শুনছে শুধু।
তিনি আবার বলতে লাগলেন।
--যুবক ,আমি আমার গোলামদের কাছ থেকে তোমার প্রসংশা শুনে অনেক মুগ্ধ হয়েছি। তোমার সাহসিকতা আমাকে প্রভাবিত করেছে।তোমার রূপ আর যৌবন আমাকে আকৃষ্ট করেছে। আমি এতোদিন ধরে এমন একজন যুবককেই খুজে চলেছি যে এই রাজ্যের রাজা হওয়ার যোগ্যতা রাখে।সব রানীর রাজার প্রয়োজন আছে। তাই আমি আজ ঘোষণা করতে চাই উপস্থিত সবার সামনে সেটা।
.
এরপর তিনি চিৎকার করে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন।
--সমস্ত রাজ্যে ঘোষণা করে দাও ,খালিদ এই রাজ্যের ভাবি রাজা হতে যাচ্ছে আগামী অমাবশ্যায়। সেই পর্যন্ত তাকে রাজার মতো করেই দেখভাল করবে সবাই। সে আমার রাজা হবে। সবাই তার গোলাম। তার সামনে সবাই চোখ নামিয়ে কথা বলবে যেমনটা আমার সাথে করো। এখানে থাকতে যেনো তার কোনো অসুবিধা না হয়।
.
আমি রানীর কথা শুনে অবাক হয়ে চলেছি। আমাকে হুট করে কেনো এখানে নিয়ে আসা হলো আর কেনইবা আমাকে রাজা বানাতে চলেছে তারা। আমাকে এরা পেয়েছেটা কি!
.
আমি রানীকে উদ্দেশ্য করে বললাম
--আমার বন্ধুদের আমি হারিয়ে ফেলেছি জঙ্গলে। কিছু হিংস্র জানোয়ারের কবলে পড়েছিলাম আমরা। এখন তাদের কাছে আমার যাওয়া দরকার। তাদের উদ্ধার করা আমার জরুরি। আমাকে এখান থেকে যেতে দিন।
রানী আমার কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো..
--যুবক, ওরা আমার হেফাজতেই আছে। আমার কয়েদখানায় তাদের বন্দী করে রাখা হয়েছে। তুমি চাইলে আমার খাস গোলাম রবিন তোমাকে তাদের সাক্ষাৎ করাবে।
.
তিনি সেই আধাবয়স্ক লোকটাকে ইশারা করলো। সেই আধাবয়স্ক লোকটার নামই রবিন।
.
এরপর রানী দরবার থেকে উঠে চলে যেতে লাগলেন। তার পেছনে পেছনে কিছু তরুনী ও যাচ্ছে। সম্ভবত ওরা রানীর দাসী। তার খেদমতে ব্যস্ত তারা। আমাকে রবিন তার পেছনে পেছনে ডাকলেন। আমি তার পেছনে পেছনে যেতে লাগলাম কয়েদখানার দিকে। আর যেতে যেতে দেখতে লাগলাম রাজকীয় সব স্থপতি নিদর্শন।
.
কয়েদখানায় ঢুকে দেখলাম কয়েদখানা গুলো ফাকাঁ। একটা কক্ষে শুধুই আমার বন্ধুদের দেখতে পেলাম। আম্রাথুও তাদের সাথে। কক্ষের কোণায় সে তার ছেলেকে জরিয়ে ধরে আছে। রাহাত, আসাদ, রিমি সবাই চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। রবিনকে থামিয়ে দিয়ে বললাম ..
--আপনি এখানেই দাড়ান আমি ওদের সাথে আলাদা ভাবে কথা বলবো।
রবিন আমার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলো। রানীর কথায় ও এখন থেকেই নিজেকে আমার গোলাম ভাবতে শুরু করে দিয়েছে যা বুঝলাম।
.
আমি কয়েদখানার কক্ষের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে আসাদ বলে ডাক দিলাম। তারা আমার ডাক শুনেই হুমরি খেয়ে আমার কাছে আসলো। কিন্তু জেলখানার মতো রডের কারনে তারা আমায় জরিয়ে ধরতে পারলো না। রিমি চিৎকার করে কাদতেঁ লাগলো আমাকে দেখে ..
--খালিদ এখানে কি হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। আমরা এখানে কিভাবে এলাম? আর তুই কোথায় ছিলি?
--আমি তো তোদের কথাই ভাবছিলাম কিন্তু জানোয়ার গুলোর সাথে পেরে উঠিনি। সবকিছুর জন্য আমিই দায়ী। আমাকে মাফ করে দে তোরা।
কাদতেঁ কাদতেঁ বললাম আমি।
--চুপ কর হারামি আগে বল এখান থেকে বের হওয়ার উপায় কি খুজে পেয়েছিস?
প্রস্ন করলো আসাদ
--কি করে পাবো .. অজ্ঞান ছিলাম তো। তাই রাস্তা দেখিনি। কিভাবে এনেছে তাও জানিনা।
--কি! তোকেও অজ্ঞান করে নিয়ে এসেছে! আমাদের সবাইকেই এভাবে আনা হয়েছে। কেউ এখানে আসার রাস্তা দেখিনি আমরা।
রাহাত বললো কথাটা।
..রিমি জিজ্ঞেস করলো..
--কিন্তু তোকে ওরা বন্দী করে রাখেনি যে!তুই কি ওদের কাছ থেকে পালাতে পেরেছিস?
--আরে না। রানীর মাথায় এখন অন্যকিছু চলছে। সে নাকি আমাকে এই রাজ্যের রাজা বানাবে। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে এখানে। আর এখানকার মানুষ গুলো খুব অদ্ভুত ধরণের। সবাইকে নিষ্প্রাণ মনে হয়। এখন সবাই আমাকে রাজার মতো করে রেখেছে। আসলে আমরা কোথায় আছি সেটাও এখনো জানতে পারিনি আমি। এখান থেকে বের হবো কি করে সেটাও বুঝতে পারছি না।
--তুই রাজা মানে! ওই রানী কি তোর প্রেমে পড়ে গেছে?
--হ্যাঁ অনেকটা সেরকমই।
রিমি এইবার আমার কথায় ঘ্যান ঘ্যান করে কাদতেঁ লাগলো ..
--একি তুই এইভাবে কাঁদছিস কেনো!
--তুই শুধু আমার।আমি তোকে ভালোবাসি। ওই রানীর থেকে দূরে দূরে থাকবি বলে দিলাম।কখনো ছুয়েও দেখবি না বলে দিলাম।
গ্রিলের ওপাশ থেকে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে রিমি বলে দিলো কথাটা।
..পাশ থেকে আসাদ হাসতে হাসতে বললো ..
--যাক অবশেষে এই সংকীর্ণ মুহুর্তে এসেও মেয়েটা তার মনের কথা বলতে পেরেছে।
আমি আসাদকে থামিয়ে দিয়ে বললাম ..
--কি বলছিস তোরা এইসব!
--আরে রিমি তোকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে। কিন্তু লজ্জায় কখনো বলতে পারেনি। আবার আমি বলতে চাইলেও নিষেধ করতো। ও নাকি নিজেই বলবে তোকে। কিন্তু তুই পাত্তা দিতি না। আজ বলে দিল।
.
আমি রিমির দিকে তাকালাম। লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে সে। এই মেয়ের মনের ভিতরে তাহলে এই ছিলো। তাই এমন পিছনে লেগে থাকতো আর আমাকে জালাতন করতো।
.
--মেডাম এখন আপনার সাথে প্রেম করার সময় নেই আমার। কলার টা ছেড়ে দিলে ভালো হয়।
.
রিমি কলার ছেড়ে দিলো। লজ্জায় কিছু বলছে না আর। এই মেয়ের এত লজ্জা আমি আগে কোনোদিন দেখিনি। বলতে গেলে মেয়ের কোনো গুনই আমি দেখিনি ওর মধ্যে আগে। এখন মনে হচ্ছে একটা লজ্জাবতী মেয়ে। যার লজ্জা তাকে পূর্নাঙ্গ মেয়ে বানিয়ে দিয়েছে।
.
--যাইহোক এখন প্রেম প্রীতি ছাড়। আর তোরা কোনো চিন্তা করিস না এখানে। আমি যেহেতু বাইরে আছি তাই আমি এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তাটা খুজে বের করবো।তবে তার আগে তোদের এখান থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা টা করতে হবে। এখন আমি যাচ্ছি।
.
আমি সেখান থেকে এসেই দেখলাম রবিন এখনো আমার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে। পাকা গোলাম। যাই বলা হয় তাই করে। এই গোলামটাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
রবিনকে সাথে ডেকে বললাম ..
--চল রানীর কাছে
--কিন্তু রানী তো অন্দরমহলে। সেখানে পুরুষদের যাওয়া নিষেধ।
--পুরুষদের যাওয়া নিষেধ কিন্তু রাজার তো নয় তাইনা?
--হ্যাঁ তা ঠিক
--তুমি আমাকে অন্দরমহলে রানীর কাছে নিয়ে যাবে।
--আচ্ছা চলুন মহারাজা।
আমি আমার ক্ষমতাটা প্রয়োগ করা শুরু করলাম প্রথমবারের মতো। আর যেতে যেতে ভাবতে লাগলাম কি বলে আমার বন্ধুদের কয়েদখানার থেকে ছাড়িয়ে নেয়া যায়।
.
.
-----চলবে-----
Reactions

Post a Comment

0 Comments