আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই,
আজ আমি হাজির হয়েছি বাংলাদেশ কেনো উন্নত বিশ্বের সাথে এখনও তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না সেটা আলোচনা করার জন্যে। কি কারণে এসব ঘটছে। কি কারণে বাংলাদেশ এতো উন্নত হওয়ার পরেও এই সোনার বাংলার এই বেহাল অবস্থা।জনসচেতনতাঃ
আমাদের দেশের জনসচেতনতা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি। কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্র এখনো বিদ্যমান যা আমি আপনি অনেনেকই জানিনা।
আমরা যখন দেখি আমাদের বাড়ির পাশে কেউ কোনো অজ্ঞাত কারণে অসুস্থ হয় অথবা কোনো অদ্ভুদ কারণে অসুস্থ হয় তখন আমরা ডাক্তার না দেখিয়ে অথবা হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে অন্যের প্ররোচনায় পড়ে নিয়ে যাই ওঝা বা তথাকথিত কবিরাজের কাছে, কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর হলো অনেকটা এরকম। কেউ বলে ওরে ভুতে পাইছে, ডাক্তার দিয়া কি অইবো। ওঝা ডাহো। এই টাইপের কিছু কথা আমরা শুনি এবং অন্ধের মতো বিশ্বাসও করি।
আমরা এতো বেশি কুসংস্কারের মধ্যে ডুবে আছি যে, একজন শিক্ষিত মানুষও এমন সময়ে নিজের বিবেক বু্দ্ধি হারিয়ে এইরকম কুসংস্কার সম্পন্ন মানসিকতার মানুষের কথা শুনে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কোনো চিকিৎসা না করিয়ে উল্টো ওঝা, তান্ত্রিক এই টাইপের কিছু হারামির কাছে নিয়ে যাই।
আমি জানি শুধু মাত্র এই একটি কারণে আমাদের দেশে ইদানিং মৃত্যুহার বেড়ে চলেছে। এমনকি অকাল মৃত্যুও বেড়ে চলেছে।
আপনারা হয়তো জানেন যে, ভুত বলতে কিছুই নেই। কিন্তু অনেকেই এই কথা বিশ্বাস করেন না।
আপনাদের একটা গল্প বলি কেমন------
একদিন বাংলাদেশের গাজীপুরে রংপুরের এক লোক ঘুরতে যায় এবং ঐ লোক সেখানেই মারা যায়। পরে পুলিশের তদন্তে লোকটির আসল পরিচয় জানা যায়। এবং তাকে একটি মিনি ট্রাকে করে তার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়। মিনি ট্রাকের ড্রাইভারের সাথে ১৭-১৮ বছরের একটা ছেলে ছিল। এবং ট্রাকের পিছনে হোগলা পাতার পাটিতে করে লাশটাকে রাখা হয়েছিল। তো গাড়িটা চলতে চলতে এক জনমানবহীন রাস্তায় একমাত্র একটি চায়ের দোকানে গাড়ি থামিয়ে চা খাচ্ছিল। এমন সময় পাশের জঙ্গল থেকে একটা লোক দৌড়ে এসে গাড়ির পিছনে উঠে বসল। লোকটা আসলে একটা চোর ছিল।
তারপর ড্রাইভার চা খেয়ে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে আবার গাড়ি চালাতে শুরু করল। হঠাৎ পাশে থাকা ছেলেটিকে বলল লাশের অবস্থা দেখার জন্য। ছেলেটা দেখল না। আর চোরটা ট্রাকের পিছনে লাশের উপর বসে সিগারেট খাচ্ছিল। ড্রাইভার ছেলেটিকে আবারও বলল লাশটা একটু দেখতে। যখনই ছেলেটা লাশটাকে দেখল তার বুকটা শুকিয়ে গেল।
সে চিৎকার দিয়ে ড্রাইভারকে বলল ওস্তাদ লাশটাতো উইঠা বইসা রইছে। এই কথা শুনে ড্রাইভার লাশের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল ট্রাকের পিছনে লাশটা বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে। সাথে সাথে ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে ভুভ ভুত বলে চিৎকার করে দু, জন দুই দিকে দৌড় লাগাল। আর ট্রাকের পিছনে থাকা চোরটাও ভয় পেয়ে সিগারেট ফেলে দৌড় দিল। হা হা হা !!!
এখানে দেখুন যার কারণে ড্রাইভার আর সাথে থাকা ছেলেটি ভয় পেল, তাদের দৌড়াতে দেখে সে নিজেও ভয় পেল, শুধু লাশটা সেখানে একা রইলো।
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আমি আপনাদের কী বুঝাতে চেয়েছি।
পোস্টটা শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ!!!
সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, আর আমার জন্য দোয়া করবেন।
আগামীতে আপনাদের সামনে যাতে আরো নতুন কিছু নিয়ে আসতে পারি সে কামনায় আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
আসসালামু আলাইকুম!!!
0 Comments
please Wait